জাল প্রোফাইলের অন্তরালে দেহ-ব্যবসার রমরমা তিলোত্তমায়
ফেসবুকের জাল প্রোফাইলের অন্তরালে দেহ ব্যবসার জাল ছড়িয়েছে মহানগরে৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে ‘আন-সোশ্যাল’ কর্মকাণ্ড ছড়িয়েছে শহরতলিতেও৷ আর এর হাত ধরেই আক্ষরিক অর্থে কলকাতা হয়ে উঠেছে ‘তিলোত্তমা’ আধুনিকতায় এবং লাগামছাড়া জীবনযাপনে৷ কিন্তু, সাদা চোখের এই অপরাধ রোধে অপরাগ পুলিশ-প্রশাসন৷ কারণ, অভিযোগ না পেলে পুলিশের কিছুই করার নেই৷ এমনটাই অপরাগতার কথা জানালেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের এক আধিকারিক৷ তাঁর কথায়, কোনও ইউজার অভিযোগ করলেই পুলিশ জাল প্রোফাইলকে ডি-অ্যাক্টিভ করার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে পারে৷
পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাজ্য-রাজধানীর বুকে কীভাবে চলছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কলগার্লের ব্যবসা? ফেসবুক ফ্রেন্ডস ফাইন্ডারে মুনমুন নাম তালাশ করলেই, সাদা পাতিয়ালা পরনে, টালিগঞ্জেক এক মহিলাকে পাওয়া যাবে৷ গৃহবধূ বলে পরিচয় দেওয়া এই ফেসবুক ইউজার নিজের ওয়ালেই স্বীকার করেছেন, তিনি দেহ ব্যবসা করেন৷ এই জাল ইউজার আদতে একজন যুবক৷ ফেসবুকের মাধ্যমে কলগার্ল সরবরাহ করেন সুদূর হায়দরাবাদ থেকে এই শহর কলকাতাতেও৷ ফেসবুকের ‘দেওয়াল’ এবং ইনবক্স চ্যাটের মাধ্যমেই তিন মহিলা সংগ্রহ করেন, ক্লাইন্ট ধরেন৷ নিশ্চিন্ত এবং নিরাপদে৷
মুনমুনের মতো পুনের নাতাশাও ফেসবুকের মাধ্যমেই কলকাতায় কলগার্লের ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছেন৷ তবে, তার ক্লাইন্ট ধরার পদ্ধতিটা একটু অন্য ধরনের৷ এই জাল প্রোফাইলের সঙ্গে বন্ধুত্বস্থাপনের পর অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে সে পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়৷ধীরে ধীরে সেই আলাপ পৌঁছয় যৌনতা প্রসঙ্গে৷ এরপরেই কলগার্ল সরবরাহ করার হাতছানি মেলে৷ ১৬ থেকে ৪০-এর কলেজ পড়ুয়া কিংবা গৃহবধূ, সব ধরনের কলগার্লই তিনি সরবরাহ করতে পারেন৷ স্বাভাবিকভাবেই ফেসবুকের কল্যাণে মিলে যায় ‘মালদার’ ক্লাইন্টও৷
শুধু মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমেই নয়, সরাসরি ক্লাইট ধরতেও কলগার্লের একাংশ ফেসবুকের নিরাপদ ব্যবস্থাকেই বেছে নিয়েছে৷ অত্যাধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির হাত ধরেই কলতাতায় জাঁকিয়ে চলছে এই আধুনিক যৌন ব্যবসা৷ কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরতলির মেয়েরাও ফেসবুকের মাধ্যমে এইপথে রোজগার করছে৷ দীপান্বিতা নিজেকে হুগলির মেয়ে বলে পরিচয় নিয়ে ফেসবুকের বন্ধুদের আহ্বান জানাচ্ছে৷ তবে, তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, ফেসবুকের এই প্রোফাইলটি জাল৷ সঙ্গের স্বল্পবাসের যৌনতা ভরা ছবিগুলি তাঁরই৷ এই ছবিই তাঁর ক্লাইন্ট ধরতে সুবিধা করে বলেই স্বীকার করেন৷ তিনি জানালেন, তাঁর মতো অনেক মেয়েই জাল প্রোফাইলের মাধ্যমে রোজগার করছেন৷ এতে সুবিধা হচ্ছে সরাসরি ক্লাইন্ট ধরতে পারায় ‘দালালি’ বা মধ্যস্থতাকারীকে কোনও কমিশন দিতে হয় না৷
মুনমুন-নাতাশা-দীপান্বিতাদের মতো ফেসবুকের হাজারো জাল প্রোফাইল ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা৷ এর জন্য তাদের গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে না হাড়কাটা গলির মোড়ে৷ অথবা শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে৷ রীতিমতো ঘরে বসে, স্মার্টফোন হাতে পথ চলতে চলতেই মিলে যাচ্ছে ‘মালদার’ ক্লাইন্ট৷ আর রাতের কলকাতাকে করে তুলছেন আরও রঙিন৷ সত্যিকারের সাবালক হয়ে হচ্ছে ‘‘তিলোত্তমা’!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন