জিকার সংক্রামন রোধে জন্মনিয়ন্ত্রণ পাপ নয়
মশাবাহিত জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ৩৪টি দেশের অধিকাংশই ক্যাথলিক রাষ্ট্র। গর্ভপাত বা জন্মনিয়ন্ত্রণ সেখানে নিষিদ্ধ। এমন অবস্থায় জাতিসংঘ গর্ভপাতের পক্ষে বললেও, পরিস্থিতি এতোটা সহজ ছিল না। এ বার সবুজ সঙ্কেত দিলেন পোপ ফ্রান্সিস।
পোপ বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে যে ভাবে মহামারী দেখা দিয়েছে, তাতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া আটকানো কোনও ভাবেই পাপ নয়!’’
পাঁচ দিনের মেক্সিকো সফর সেরে ভ্যাটিকান ফেরার পথে সাংবাদিকদের এ কথা জানালেন তিনি।
যদিও গর্ভপাতের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে পোপ বলেন, ‘‘গর্ভপাত করা পাপ। আর এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা মানুষেরই একটা খারাপ দিক। আবার ঠিক সে রকমই গর্ভনিরোধক বড়ি খেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া আটকানোও পুরোপুরি অন্যায় নয়।”
ইতিহাসে এর নজিরও আছে উল্লেখ করে পোপ বলেন, ‘‘সন্ন্যাসিনীদের হাত দিয়ে ১৯৬০ সালে বেলজিয়ান কঙ্গোয় লাগাতার ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েদের কাছে গর্ভনিরোধক বড়ি পাঠানোয় সম্মতি দিয়েছিলেন পোপ ষষ্ঠ পল। এ রকম কিছু ক্ষেত্রে (যেমন জিকার সংক্রমণ) জন্ম নিয়ন্ত্রণে অন্যায় নেই।”
জিকা ভাইরাস সংক্রমণে জ্বর, গায়ে গোটা বেরনো, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু এর পরিণতি মারাত্মক যদি কোনও অন্তঃসত্ত্বা নারী সংক্রামিত হন। সে ক্ষেত্রে তাঁর সন্তানের মাইক্রোসেফালি হওয়া নিশ্চিত। এ রোগে শিশু অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মায়। বয়স বাড়লেও মাথার খুলি বাড়ে না। কিন্তু বাড়তে থাকে মুখমণ্ডল। দেহের বাড়বৃদ্ধি ঘটে না। কথা বলতেও শেখে না শিশু। এ রোগের কোনও প্রতিষেধক নেই, নেই চিকিৎসাও। ভাইরাসটি বহন করে এডিস ইজিপ্টাই মশা। যৌন সম্পর্কেও ভাইরাসটি ছড়ায় বলে প্রমাণ মিলেছে।
এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিল-সহ বেশ কিছু দেশ ঘোষণা করে, ‘অন্তঃসত্ত্বা হবেন না’। জাতিসংঘও আরও এক ধাপ এগিয়ে জানায়, ‘যদি কোনও নারী গর্ভবতী হয়েও পড়েন, গর্ভপাত করান’।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন