জিপিএ-৫ পেয়েও পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রূপা!
অভাবকে জয় করে জিপিএ-৫ পেলো রূপা আক্তার। দিনমজুর মায়ের অনুপ্রেরণায় এবারের এএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায় রূপা। সে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর লিয়াকত আলীর মেয়ে।
রূপা আক্তার গেড়ামারা গোহাইলবাড়ী সবুজ সেনা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছে।
তার বাবা লিয়াকত আলী (৫০) স্থানীয় ইটভাটায় দিনমজুরের কাজ করেন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা আটজন। বাবা লিয়াকত আলী তার বৃদ্ধা মাতা, স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে কোনো রকম সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু দরিদ্রতার কারণে লিয়াকত আলী মেয়ে ভালো কোনো কলেজে ভর্তি করাতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন।
চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে রূপা দ্বিতীয়। বড় বোন স্বামী পরিত্যক্তা। ছোট ভাই-বোন পড়াশোনা করে। ইটভাটায় দিনমজুরি ও বর্ষাকালে ফেরি করে বিভিন্ন খেলনা বিক্রির মাধ্যমে কোনো রকমে সংসারের ঘানি টানছেন বাবা লিয়াকত আলী।
বাবার পক্ষে লেখাপড়ার খরচ বহন করা সম্ভব না হওয়ায় রূপা পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ চালাতো। কিন্তু মেধাবী রূপা সব বিষয়ে নব্বই ভাগ নম্বর পেয়েও হয়তো টাকার অভাবে ভালো কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। এমন দুশ্চিন্তাই দিন কাটাচ্ছে সে। রুপা লেখাপড়া করে ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়।
রূপার প্রতিবেশী নাজিম উদ্দিন ও বাছাতন বলেন, রূপা খুবই ভদ্র ও শান্ত মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই সে অত্যন্ত মেধাবী। প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের খুব আশা রূপা উচ্চশিক্ষা লাভ করে গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে। তবে দরিদ্রতার কারণে তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
রূপার মা কমলা বেগম বলেন, মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাতে চাই। কিন্তু কীভাবে করাবো বুঝতে পারছি না। তাই সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঘুরে আসুন ঐতিহ্যবাহী শহর ভিগান থেকে
অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে এশিয়ার দেশগুলোর ঐতিহ্য এবংবিস্তারিত পড়ুন
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ জন ছুঁই ছুঁই
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭বিস্তারিত পড়ুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও হামলারবিস্তারিত পড়ুন