জিরো হাতে আসা এক নায়কের গল্পঃ ’খাবার পয়সা ছিল না’
আমি আরিফিন শুভ, আমি ঢাকায় জিরো হাতে এসেছি। থাকার জায়গা ছিল না, খাবারের পয়সা ছিল না। মফস্বল থেকে এসেছি একটি ক্ষ্যাত ছেলে। আমিও কম হতাশ ছিলাম না। আমার আশে পাশে অনেক ড্রাগ নেওয়ার সুযোগ ছিল, মাদকাশক্ত প্রচুর ছিল। আমি সে পথে পা বাড়াইনি। আমিও তো তাঁদের মতো হয়ে যেতে পারতাম। হইনি। কথা গুলো বলছিলেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ।
তিনি বলেন, আমার সমালোচনা যারা কারো তারাই আমার বন্ধু তাঁদেরকে স্পেশালি থ্যাঙ্কস। আমার যতই সমালোচনা হবে ততই আমি স্ট্রং হবো, ততই কাজ করতে থাকবো।
সম্প্রতি একটি লাইভ অনুষ্ঠানে এসে তরুণ প্রজন্মের হতাশা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকাই ছবির এই নায়ক। হতাশা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন। ডিপ্রেশন থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ দেন। ফুটবলকে কেন্দ্র করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জাগো’র মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন আরিফিন শুভ। এরপর ঢাকাই ছবির শীর্ষ কয়েকজন অভিনেতার মধ্যে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন হালের এই জনপ্রিয় অভিনেতা।
শুভ বলেন, তরুণ প্রজন্ম দিনশেষে অনুভব করছে, কি যেন নেই। কিসের যেন শূন্যতা। আমরা কি সহজে হাল ছেড়ে দিচ্ছি? সহজে গা ছেড়ে দিচ্ছি? একঘেয়েমি চলে আসছে জীবনে। আমরা আসলে নিজস্বতা হারিয়ে ফেলছি। রফিক এটা করছে, আমাকেও এটা করতে হবে, সাবিনা এটা করছে আমাকেও এটা করতে হচ্ছে। ফলে আমরা নিজেকে হারিয়ে ফেলছি। ফলে সহজেই হতাশ হয়ে যাচ্ছি। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।
ঢাকাই ছবির এই নায়ক বলেন, তোমরা যারা এই মুহূর্তে হতাশ হয়ে আছো। তোমরা যারা ডিপ্রেশড। তোমরা মনোযোগ দিয়ে শোনো। আমরা যেমন জিমে গিয়ে ধীরে ধীরে ওজন উত্তোলনের ক্ষমতা বাড়াই, ঠিক আমাদের লাইফেও নিয়মিত পকেটে ইনভিজিবল ওয়েট ঢুকাই। যখন আমাদের টাইম আসে তখন আমরা ওই ওয়েট পকেট থেকে বের করে বাইরে রেখে মরে যাই। তাহলে আমরা ওয়েট কেন ক্যারি করলাম এতোদিন? হোয়াই?
আরিফিন শুভ বলেন, বয়ফ্রেন্ড চলে গেছে, গার্লফ্রেন্ড চলে গেছে, আত্মহত্যা করতে হবে কেন? বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড চলে গেছে, যাক। তারা জীবনটা তো আর নিয়ে যায়নি। তোমরা ভাবো, আমার সাথে কেন এটা হলো? রফিকের সাথে কেন হলো না। আরে এরকম সবার সাথেই হয়, তুমি জানো না।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই তারকা বলেন, আমি আরিফিন শুভ আমি ঢাকায় জিরো হাতে এসেছি। থাকার জায়গা ছিল না। খাবারের পয়সা ছিল না। মফস্বল থেকে এসেছি একটি ক্ষ্যাত ছেলে। আমিও কম হতাশ ছিলাম না। আমার আশেপাশে অনেক ড্রাগ নেওয়ার সুযোগ ছিল, মাদকাশক্ত ছিল। আমি সে পথে পা বাড়াইনি। আমার সমালোচনা যারা কারো তারাই আমার বন্ধু তাঁদেরকে স্পেশালি থ্যাঙ্কস। আমার যতই সমালোচনা হবে ততই আমি স্ট্রং হবো, ততই কাজ করতে থাকবো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন