জিয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার কেড়ে নিলে দাঁতভাঙ্গা জবাব

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারে সররকারের উদ্যোগ বিষয়ে উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সরকার যখন তার ভুল বুঝতে পারবে, তখন তা শোধরানোর কোনো সুযোগ থাকবে না। কারণ জনগণ এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অনেক বড়ো ভূমিকা রাখেন। এজন্যই স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার তাকে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সর্বোচ্চ যে খেতাব, সেই ‘বীরোত্তম’ খেতাবে ভূষিত করে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দিবেন- এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষনা এলেই কেবল তা ইতিবাচক হবে। সুন্দরবনের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র না করার বিষয়টি থাকলে জনগণ ইতিবাচকভাবে বক্তব্য গ্রহণ করবে।
এদিকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুরস্কারটি জাতীয় জাদুঘর থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২৪ আগস্ট বুধবার জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেয়ার পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। ২০০৩ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়। ওই সময় জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সে সময় পুরস্কারের মেডেল, সম্মাননাপত্র কোনো উত্তরাধিকারীকে না দিয়ে বাংলাদেশ জাদুঘরের একটি কর্নারে যথাযোগ্য মর্যাদায় সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলতি বছরের জুলাই মাসে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে একটি নথি কমিটিতে পাঠানো হয়। যেখানে প্রয়াত জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতি পদ বা রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহণের বিষয়টি হাইকোর্টে রিট পিটিশন আদেশের মাধ্যমে অবৈধ ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া নথিতে স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত সংশোধিত নির্দেশমালার বিষয় উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। তাই এই পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচনকালে দেশ ও মানুষের কল্যাণে অসাধারণ অবদান রেখেছেন এমন সীমিত সংখ্যক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেই বিবেচনা করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সাবেক এমপি মিয়াজী যশোরের পার্ক থেকে আটক
ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিববিস্তারিত পড়ুন

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন