জিয়া-তামিম ঢাকায়, ধারণা পুলিশের
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি কর্মকাণ্ডের হোতা দাবি করা তামিম চৌধুরী ও মো. জিয়াউল হক ঢাকাতেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, ওই দুইজনকে ধরিয়ে দিতে চলতি মাসের শুরুতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,‘আমাদের ধারণা,তারা ঢাকাতেই আছেন। আমরাও চেষ্টা করছি এবং অন্য সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণাও হয়েছে।’
এদের মধ্যে বরখাস্ত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে ২০১২ সালে সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনাকারী বলছে পুলিশ। তিনি জঙ্গি দল আনসার আল ইসলামের হয়ে কাজ করছেন বলে এর আগে মনিরুল রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন।
আর কানাডীয় পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিক তামিম চৌধুরীকে ‘আইএস এর বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়ক’ বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে। পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক গত ২ অাগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম ও জিয়াকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন।
সেদিন তিনি বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে আমরা যা পেয়েছি, এখানে মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী। জেএমবির নেতৃত্ব সে দিচ্ছে। এই তামিম চৌধুরীর পর যারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রধান তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদেরকে আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’
মনিরুল বলেন, ‘আরেকটা গ্রুপ আছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। সেখানে তদন্তে আমাদের ধারণা হয়েছে, তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া।’ কানাডার উইন্ডসরের বাসিন্দা তামিম ২০১৩ সালের অক্টোবরে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে আসার পর থেকে নিখোঁজ বলে ২ অক্টোবর জানিয়েছিলেন মনিরুল।
তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন- এ প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, তখন তার জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানা যায়নি। তদন্তে ২০১৫ সালে তার নাম বেরিয়ে আসে। আর জিয়ার বিষয়ে মনিরুল সেদিন বলেছিলেন, “তার নাম আসে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দি থেকে।’
জিয়া ও তামিম দেশেই আছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেদিন ধারণা দিয়েছিলেন মনিরুল। শুক্রবার তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেন ঢাকার দারুস সালাম এলাকা থেকে জেএমবির পাঁচ সদস্যকে বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে তথ্য জানাতে।
তিনি বলেন,অভিযানের সময় পাঁচজনকে ধরা গেলেও আরো চারজন পালিয়ে যায় বলে গ্রেফতাররা পুলিশকে জানিয়েছে। ‘কল্যাণপুরের ঘটনায় নয়জন নিহত হওয়ার পর ঢাকায় জেএমবির কর্মী সঙ্কট দেখা দেয়। তাই এদেরকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় আনা হয়। মূলত প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করতে তাদের ঢাকায় আনা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে।’
গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের এক বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বহিনীর বিশেষ অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত হয়। তারাও জেএমবির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
মনিরুল বলেন, গুলশানের ঘটনার পর কল্যাণপুর ছাড়াও বিভিন্ন স্থানের অন্তত দশটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। গুলশান ঘটনার দিন জঙ্গিরা ভেতর থেকে বাইরে যে ছবি ও মেসেজ পাঠিয়েছিল, তা মারজান (সাংগঠনিক নাম) নামের এক তরুণ ছড়িয়ে দেয় বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সে ঢাকায় অবস্থান করছে। সে শিক্ষিত ছেলে বলে মনে হয়েছে। তার একটি ছবি গোয়েন্দা সদস্যদের হাতে রয়েছে।’ বিডিনিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন