রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

জীবনকে নতুন করে পরিবর্তন করুন!

জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নতুন নতুন পরিবর্তন অপেক্ষা করে আমাদের জন্য। যেগুলো নিমিষে এলোমেলো করে দেয় অনেক আগে থেকে ভেবে রাখা সব কথা আর পরিকল্পনাগুলোকে। কিন্তু এর সবটাই কী হঠাৎ করেই হয়?

না! আমরাও জীবনে পরিবর্তন চাই। আর চাই বলেই নিজেদের জীবনকে পরিবর্তিত করতে নিই নানারকম পদক্ষেপ। কোনো সমস্যায় পড়েছেন, কষ্টে আছেন, কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে আটকে গেছেন? জীবনকে একেবারেই নতুন করে শুরু করতে চান? বদলে দিতে চান একেবারেই। তাহলে চেষ্টা করুন এই ব্যাপারগুলো। বদল আপনার জীবনে আসবেই! এবং সেটা ইতিবাচকভাবে।

নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন
একজন মানুষ হিসেবে আপনার ভেতরেও আর সবার মতন আছে হাজারটা স্বপ্ন। সেগুলোর কোনোটা ভেঙে গিয়েছে এর মধ্যেই, কোনোটা রয়ে গেছে আপনার নিজেরই অজানা। জানতে চেষ্টা করুন কী সেই স্বপ্নগুলো। কী করতে চান আপনি? কী করতে ভালোলাগে? আর ১০ বছর পর পেছনে ফিরে দেখলে নিজেকে কোথায দেখতে চাইবেন আপনি? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন। হয়তো এখন আপনি ভেঙেচুরে আছেন, আপাত দৃষ্টিতে কোনো স্বপ্নই দেখতে পারছেন না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, মানুষ মরে গেলেও তার স্বপ্ন মরে না। আর তাই প্রথমে নিজেকে জানুন আর নিজের ভেতরে লুকিয়ে তাকা ইচ্ছেটাকে চেনার চেষ্টা করুন।

তালিকা তৈরি করুন
কী করতে চান আপনি? কী কী করার ইচ্ছে আছে আপনার? নিজের শখগুলোকে বন্দি করে ফেলুন কাগজের পাতায়। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে? তখন কোনোরকম চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমরা বলতাম- বড় হয়ে রিকশাওয়ালা হব! আকাশে উড়ব! এমনি আরো কতকিছু। ঠিক সেরকমভাবে কী করতে পারা যাবে আর কী যাবেনা সেটা চিন্তা না করেই লিখে ফেলুন ঠিক কী কী ইচ্ছে আছে আপনার আর সেগুলোকে পূরণ করার পথে এগিয়ে যান।

স্বপ্নের পথ খুঁজুন
স্বপ্ন দেখলেই তো হয়না। সেগুলো পূরণের জন্য করতে হয় যথেস্ট চেষ্টাও। আর তাই নিজের স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে এগিয়ে যান। কোনোটা হয়তো একদিনেই সম্ভব, কোনোটা এক বছরেও নয়! আর তাই স্বপ্নের মাত্রা অনুযায়ী ঠিক করে ফেলুন সেটা অর্জনের পথ। তবে একেবারেই খুব বেশি মাথা ঘামাবেন না। হতেই পারে হুট করে আপনার স্বপ্নটাই বদলে গেল। কিন্তু সেটা পূরণের জন্যে যে ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো নেন আপনি তাতেই পাল্টে যেতে পারে আপনার জীবন অনেকটা।

অনুশোচনাকে ভুলে যান
জীবনে অনেক কাজই আছে যেগুলোর জন্যে মনে মনে অনুশোচনায় পুড়ছেন আপনি। কিন্তু এটা একেবারেই কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না আপনার জন্যে। উল্টো এই অনুশোচনাগুলোই অতীতের সঙ্গে আরো আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখবে আপনাকে। যা করেছেন, যা হয়েছিল সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কারণ মাথায় বয়ে বেড়ালে ব্যাপারটি পাল্টাবে না। উল্টো অনুশোচনা করে বর্তমানকে নষ্ট করলে সেটাই ভবিষ্যতে আপনার অনুশোচনার কারণ হয়ে দাড়াবে। একটা বেলুন নিন। তাতে লিখুন আপনার অনুশোচনার ব্যাপারটি। আর ফুলিয়ে উড়িয়ে দিন আকাশে। কিংবা কাগজে লিখে পুড়িয়ে ফেলুন। পানিতে মিশিয়ে ফেলে দিন বাইরে। মোটকথা, যেভাবেই হোক মুক্তি দিন নিজেকে অনুশোচনার ভূতের হাত থেকে।

ভয়কে জয় করুন
প্রতিটি মানুষেরই কোনো না কোনো ব্যাপারে ভয় থাকে, দূর্বলতা থাকে। না, সেটা থেকে দূরে নয়, বরং সেটার অনেক কাছে এসে মুখোমুখি মোকাবেলা করুন। যদি এমন হয় যে উঁচু জায়গাকে ভয় পান আপনি, সাঁতার কাটতে ভয় পান কিংবা মানুষের সামনে কথা বলতে ভয় পান- তাহলে যেটাই হোক চেষ্টা করুন সেটা করতে। নিজের ভয়কে সামনে থেকে মোকাবেলা করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে সঙ্গে সাঁজিয়ে ফেলুন জীবনকে নতুন করে। এখনই একটা তালিকা করে ফেলুন এই জিনিসগুলোর। আর এগিয়ে যান।

শরীরের যত্ন নিন
মন খারাপ? জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে গিয়েছে? না খেয়ে থাকলে কিংবা অতিরিক্ত খেলে সেটা সাময়িক ভালো লাগা দিলেও একটা সময় গিয়ে খারাপ লাগাটা বাড়েই কেবল। কমবে না। আর তাই শরীরের যত্ন নিন। ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করুন। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন খানিকটা শরীরচর্চা করতে। আমাদের বয়স বেড়ে যাবে, আমরা একটা সময় অসুস্থ হব। এসব কিছুই ঠিক। এগুলোর কোনোটাকে খুব একটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না আমি কিংবা আপনি। কিন্তু শরীরের যত্ন নিয়ে শরীর আর মনকে ভালো রাখতে পারব।

নেতিবাচক ভাবনাকে জয় করুন
নেতিবাচক ভাবনা তৈরি করি আমরা, আর সেটাকে পেলে পুষে বড় করে শেষমেশ সেটার হাতে নিজেকে সঁপেও দিই আমরাই। আর তাই নিজের মাথায় থাকা এমন কোনো নেতিবাচক চিন্তাকে পাত্তা দেবেন না। সময় দেবেননা সেটাকে আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে। কেউ একজন আপনার জীবনে ছিল। এখন নেই বলেই যে আপনার জীবন কষ্টের, নষ্ট হয়ে যাবে তা না। তেমনি আপনার একটা চাকরি চলে যাওয়া মানেই এই না যে আর চাকরি পাবেননা। আর তাই সামনে যেটা আসছে সেটাকেই ভালোভাবে মেনে নিন। কে জানে, আপনার ধারণাকে ভুল করে দিয়ে সামনে হয়তো আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্যে!

বর্তমানে থাকুন
বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যত নিয়ে মানুষের জীবন। তবে বর্তমানই একটা সময় অতীত আর ভবিষ্যত তৈরি করে। তাই চেষ্টা করুন বর্তমানেই সবসময় বাঁচতে। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নিয়ে ভেবে এবং অতীতে কী হয়েছিল তা নিয়ে পড়ে থেকে বর্তমানকে খারাপ করবেননা। এতে করে আপনি যা আশংকা করছিলেন তাই হতে বাধ্য হবে। আর সেটা বাধ্য করেন আপনিই!

নিজেকে ভালোবাসুন
বারবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে আপনাকে কিংবা নিজের কোনো একটা ব্যাপার নিয়ে বিরক্ত আর রাগান্বিত আপনি? কিন্তু একবার ভাবুন, আপনি যেমনই হোন, সেটা তো আপনিই! আপনাকে আপনিই যদি অবহেলা করেন, তুচ্ছ করেন, ভালো না বাসেন তাহলে অন্য কেউ ভালোবাসবে কেন আপনাকে? আর তাই ভালোবাসুন নিজেকে। আর নিজে যা সেটা নিয়ে আসুন সামনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়