জীবনের কোন সময়টা ফিরে পেতে চান?
মোশাররফ করিম- দর্শকের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা কিংবা জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। বর্তমানে ব্যস্ত এই অভিনেতার সময় কাটছে ঈদের কাজ নিয়ে। সকাল থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত ধরে কাজ করে চলছেন তিনি। আর এই কাজের নাম অভিনয়। নাটক, টেলিফিল্ম কিংবা ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠান- সবখানেই একচ্ছত্র আধিপত্য তার। এর মাঝেই তৌকির আহমেদের পরিচালনায় অভিনয় করছেন অজ্ঞাতনামা’ চলচ্চিত্রটিতে। শুটিংয়ের ব্যস্ততা শেষে এক মধ্য রাতে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে অভিনয়, ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ এবং নানা বিষয়ে খােলামেলা কথা বলেন প্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম।
দর্শকের জন্য এবার ঈদে আপনার নাটক
এত ব্যস্ততায় কাটছে যে দিন। নাম মনে রাখার কোন উপায় নাই। তবু মনে পড়ে বাংলাভিশনে প্রচারিত হবে সাগর জাহানের রচনা ও পরিচালনায় ছয় পর্বের নাটক ‘সিকান্দার বক্স এখন রাঙ্গামাটি’। মাসুদ সেজানের ‘সুশীল’ নামের একটি নাটক করলাম। আরেকটি নাটকের নাম ‘ঘুষখোর’। এ ছাড়া আরও অনেকগুলো কাজ করলাম। পুরো রমজান মাস খুব ব্যস্ততায় কাটছে।
এত ব্যস্ততার মাঝেও ‘অজ্ঞাতনামা’ শেষ করলেন। চলচ্চিত্রটি নিয়ে কিছু বলুন
প্রথম যখন গল্পটি পড়লাম, তখনই ভালো লেগে গেল। অসম্ভব ভাল একটি গল্প এবং এই গল্পতে একটি শক্তি কাজ করেছে যার ফলে এত ব্যস্ততার মাঝেও আমি অভিনয় করেছি। তাছাড়া তৌকির ভাইয়ের প্রতি আমার আলাদা ভালবাসা রয়েছে। সবমিলিয়ে আমি বিশ্বাস করি দর্শক বাধ্য হবে হলে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখতে।
চরিত্রের প্রয়োজনে নানা ভূমিকায় অভিনয় করেন। চরিত্রবদল নিয়ে নিজের কি মনে হয়?
প্রতেকটা মানুষের একটা সরল বিশ্বাস থাকে। আমার কাছে মনে হয় একজন অভিনেতার সেই সরল বিশ্বাসটাকে যখন অবিশ্বাস্য রূপে পর্দায় দেখানো হয় তখন ওই অবিশ্বাস্য ব্যাপারটাই দর্শক বিশ্বাস করে। যদি খুবই অবিশ্বাস্য ব্যাপার হয়- যেমন, চাদরের উপর দাড়িয়ে একজন মানুষ আকাশে উড়ে যাচ্ছে আর এটা যদি কোন অভিনেতা বিশ্বাস করতে পারে তাহলে চরিত্রটি সবার মাঝে ছড়িয়ে যায়। এবং সবাই বিশ্বাস করে যে আসলেই কেউ চাদরের উপর দাড়িয়ে উড়ছে। যখনই এই বিশ্বাসটা একজন অভিনেতার মাঝে থাকবে না, তখনই সে আর অভিনেতা হয়না। দর্শক তখন হতাশ হয়। আমাদের চারপাশে যে নানা ধরণের চরিত্রে ঘুরে বেড়ায়, তার যথাযথ রূপ ফুটিয়ে তোলাই আমার অভিনয়। আমি একজন শিল্পী। আর একজন শিল্পীর কাজ হচ্ছে তার শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখা।
বর্তমান সময়ে এসে জীবন কি ভাবে দেখছেন?
আমি সব সময় জীবন সহজ করে দেখি। জীবনতো সহজই, বরং আমরাই নানা চিন্তা ও কাজে কর্মে জীবনকে কঠিন করে ফেলি। এটা নতুন কিছু নয়। কারন এই যে আমি বসে আছি, উঠে দাড়াতে পারব কিনা- তার কোন নিশ্চয়তা নাই। তাই জীবন নিয়ে ভাবনার কিছু আছে বলে আমার মনে হয়না। আমি জানিনা আমার সামনে কি হবে। তাহলে আমি কেন অযথা চিন্তা করে জীবন কঠিন করব? একেবারে যে ভাবী না, তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে টেনশন হয়। তাই সবশেষে আমাদের মনটা ভাল করতে হবে। একজন ভাল মানুষ হয়ে থাকতে চাই।
জীবনের কোন সময়টা ফিরে পেতে চান?
চলে যাওয়া সবটা সময়ই ফিরে পেতে চাই! সেই কাছের মানুষ গুলোর সাথে একসাথে আড্ডা দেয়া- আড্ডা খুব মিস করি। আগে সময়টা অফুরন্ত ছিল, এখন এত ব্যস্ততা! বর্তমানটা যে ভালো লাগে না, তা নয়। কাজের কাঠামোগত, পরিবেশগত পরিবর্তন হলে হয়তো আরও বেশি আনন্দ নিয়ে কাজ করতে পারতাম।
কাজের কাঠামোগত ও পরিবেশগত পরিবর্তন বলতে কি বোঝাতে চাইছেন?
পুরো কাজটা গোছানো হলে ভালো লাগে। একজন অভিনেতা জানবেন তার কাজটুকু কি, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেবেন। পরিচালক যখন বলবেন ‘স্ট্যান্ডবাই’, তখন পুরো সেট স্ট্যান্ডবাই হবে। এমনকি যে ছেলেটি চা দিচ্ছে, সে-ও। কাজের সময় নানা ধরনের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিই আমরা। তাতে সময় নষ্ট হয়, এনার্জি নষ্ট হয়। এমনকি মানসিক অবস্থাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু এটা তো বুঝতে হবে— একটু গুছিয়ে কাজ করার জন্য বাড়তি টাকা খরচ হয় না। তারপর নানা সময় বৈরী পরিবেশে জোর করে মন শক্ত করে কাজ করি। পরিবেশ ভালো হলে যেটা সাবলীল ভাবেই হতে পারতো। সব মিলিয়ে ভালো অভিনয়ের জন্য পরিবেশটা উন্নত হওয়া দরকার।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন