শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

জীবনের শখ, হাতির সাথে ছবি তুলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু!

সামনে থেকে হাতির পাল দেখার শখ ছিল অনেকদিনের। নিজের ইচ্ছার কথা বহু বার জানিয়েছিলেন পরিচিতদের। তাই শুক্রবার দুপুরে সে শখ মেটানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি কৌস্তভ বন্দ্যোপাধ্যায় (৩৮)। কিন্তু ছবি তুলতে গিয়ে হাতির হামলায় গুরুতর জখম হন মেদিনীপুর শহরের ওই কংগ্রেস কাউন্সিলর। মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মেদিনীপুর সদর ব্লকে হাতির তাণ্ডব চলছে। প্রায় দেড়শোটি হাতি চারটি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। লোকালয় থেকে হাতি তাড়ানো শুরুও করেছে বন দফতর। সেই তাড়া খেয়ে শুক্রবার সকালে হাতির একটি দল কংসাবতী পেরিয়ে মানিকপাড়ায় ঢোকে। এক পরিচিতের মাধ্যমে এ দিন সকালে খবরটা পৌঁছয় কৌস্তভের কাছে। সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি।

বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তিরিশ কিলোমিটার উজিয়ে আট বন্ধু মিলে মোটরবাইক চেপে রওনা হন মানিকপাড়ার জঙ্গলের উদ্দেশে। তখন সেখানে ভিড় করেছিল গোটা দশেক হাতি। রাস্তা থেকেই হাতির পাল দেখতে পেয়ে মোটরবাইক রেখে জঙ্গলে দৌড় দেন কৌস্তভ ও তাঁর সঙ্গীরা। হাতের মোবাইলে উঠতে থাকে পরের পর ছবি। আচমকা একটা দাঁতাল ঘুরে দাঁড়ায়।
কৌস্তভের সঙ্গী মহম্মদ সইফুলের কথায়, ‘‘হাতিটা ও রকম ভাবে ঘুরে দাঁড়াতেই আমরা দৌ়ড় লাগাই। কৌস্তভদা পালাতে পারেনি। কিছুক্ষণ পরে গ্রামের লোকের কাছে শুনি, হাতিটা না কি কাউকে আছাড় মেরেছে। গিয়ে দেখি, কৌস্তভদা পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।’’

বন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জংলি হাতির থেকে সব সময় নিরাপদ দূরত্বে থাকা উচিত। অত্যুৎসাহীরা সেটা ভুলে যান। সব সময়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়াও সম্ভব হয় না। সে জন্যই এই দুর্ঘটনা।’’ গুরুতর জখম অবস্থায় কৌস্তভকে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকপা়ড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান কৌস্তভ।

ওষুধ ব্যবসায় জড়িত এলাকায় কৌস্তভ বরাবরই পশুপ্রেমী বলে পরিচিত। বাড়িতে তাঁর পোষা কুকুর রয়েছে। বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধা মা ছাড়া আর কেউ নেই। বিবাহিতা দিদি বেড়াতে গিয়েছেন গ্যাংটকে। রাত পর্যন্ত কৌস্তভের বাড়িতে মৃত্যুসংবাদ দেননি ঘনিষ্ঠেরা।

ছাত্র পরিষদ কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে হাতেখড়ি কৌস্তভের। ২০১৩ সালের পুর-নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে জয়ও পান। বিরোধী দলের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। কৌস্তভের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি, সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। দীনেনবাবু বলেন, ‘‘কৌস্তভ অন্য রকমের ছেলে ছিল। সকলের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে চলত।’’ আর কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়ার কথায়, ‘‘পুজোর দিনে এমন জলজ্যান্ত ছেলেটা আর নেই। ভাবতেই পারছি না!’’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ