জীবন থাকতে জমি দেব না
জীবন থাকতে জমি দেব না। সরকার প্রধান বিষ কিনে দিবে আর মৃত্যুর পর সব জমি নিয়ে নিবে। তখন কেউ বাধা দেবে না। ভোমরা বন্দর সংলগ্ন লক্ষ্মীদাড়ী গ্রামের স্থানীয় সালেহা বেগম এমন করেই তার দাবির কথা জানালেন।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ওয়ার হাউজ, পার্কিং, ট্রাক টার্মিনাল, যাত্রী ছাউনি ও আভ্যান্তরীণ রোড নির্মাণের জন্য প্রাথমিক যাচাই, বাছাই কাজ চলছে। ৮৫ একর জমির উপর ২০৪০ সাল পর্যন্ত ২৭৫ কোটি টাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক প্রকল্পের একটি নকশাও প্রস্তুত করা হয়েছে।
বন্দরটি বর্তমানে ১৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু হয় স্বল্প পরিসরে। ২০১৩ সালের ১৮ মে বন্দরটি পুর্ণাঙ্গ বন্দরে পরিণত হয়।
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বাড়িঘর ভেঙে দিলে আমাদের মরণ ছাড়া গতি নেই। বসতি, স্কুল, মসজিদ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না ভেঙে দুইশ গজ দূরে ফাঁকা জায়গায় উন্নয়ন করলেই হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভোমরা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবাসায়ী দিপঙ্কর ঘোষ জানান, সরকার যে অধিগ্রহণ করছে সে জমির উপর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ৪০০ পরিবারের বসবাস। রয়েছে মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কবরস্থান, শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিস। আমরা ভোমরা বন্দরের উন্নয়ন চাই তবে এগুলো ভেঙে উন্নয়ন না করে দুইশ গজ দূরে ফাঁকাস্থানে উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হোক।
এ বিষয়ে ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল গাজী বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে। কিন্তু গরীব অসহায় মানুষকে উচ্ছেদ করে উন্নয়ন চায় না। ফাঁকা জায়গায় হাজার হাজার বিঘা জমি পড়ে আছে সেই জমিতেই উন্নয়ন কাজ করা হোক তাহলে সর্বসাধারণের কোনো ক্ষতি হবে না।
দিপ্তি সরদার নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, এ জায়গা নিয়ে মরণ ছাড়া আমাদের বিকল্প পথ নেই। ভারতে চলে যেতে হবে।
জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. অনিত মুখার্জি জানান, আমরা সাতক্ষীরাবাসী বন্দরের উন্নয়ন চায় তবে যেখানে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে সেখানে পরিকল্পনা মতে কাজ বাস্তবায়ন হলে চারশতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মূখীন হবে। এজন্য উন্নয়ন কার্যক্রমটির স্থান পরিবর্তন প্রয়োজন। যত ধরনের সহযোগিতা দরকার স্থানীয় জনগণ সেটি করতে প্রস্তুত।
এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন জানান, বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে প্রকল্প ১ ও প্রকল্প ২ প্রস্তাব ঘোষণা করা হয়েছে। যা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের কাছে রিকুজেশনের জন্য প্রস্তাব পাঠালে এলাকার সর্বসাধারণের যাতে ক্ষতি না হয় সেটি বিবেচনা করা হবে। এখনো আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব পায়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন