জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আল্লামা শফি, আইসিইউতে ভর্তি
শারীরিক অবস্থা চরম অবনতি হওয়ায় হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীকে রাজধানীর ধুপখোলার আজগর আলী হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালটির কাস্টমার কেয়ার অফিসার মো. শোয়েব হোসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আল্লামা শফী বর্তমানে আইসিইউ ইনচার্জ অধ্যাপক ডা. নুরুজ্জামানের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কী ধরনের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আল্লামা শফী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, দীর্ঘদিন ধরে আল্লামা শফী বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি জানান, সোমবার রাত থেকে তার শরীরের অবস্থা চরম অবনতি হয়। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকা নেয়া হয়।
৯৬ বছর বয়সী আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার মহাপরিচালক এবং হেফাজতে ইসলামের আমির।
উল্লেখ্য, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জন্ম ১৯২০ সালে, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে। ১০ বছর বয়সে তিনি আল্-জামিয়াতুল আহ্লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ওই বয়সে কিছুদিনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতা উভয়কে হারান। এরপর ১০ বছর আল্-জামিয়াতুল আহ্লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় অতিবাহিত করেন। ২০ বছর বয়সে (১৯৪১ সালে) তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় ভর্তি হন।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে আলেমদের কাছে দূর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল এ মাদ্রাসাটি। ওই সময় তিনি শায়খুল আরব ওয়াল আজম, সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানীর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন।
আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী একাধারে চার বছর অধ্যয়ন ও বিশ্ববিখ্যাত ধর্মগুরুদের পদাঙ্ক অনুসরণের মাধ্যমে হাদিস, তাফসির, ফিকাহশাস্ত্র বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি আল্লামা মাদানির প্রতিনিধি হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন।
এরপর চট্টগ্রামে আল্-জামিয়াতুল আহ্লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষক হিসেবে তিনি নিযুক্ত হন। ১৪০৭ হিজরিতে এর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। বর্তমানে মহাপরিচালকের পাশাপাশি শায়খুল হাদিসের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন।
অনসৈলামিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ও ইসলামী প্রচারণার জন্য আল্লামা শফি ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গঠন করেন।
ভারতে বাবরী মসজিদ ধ্বংস, ফারাক্কা বাঁধ, তাসলিমা নাসরীন ইস্যু, সরকারের ফতোয়া বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৎকালীন সময়ে আল্লামা শফি ছিলেন প্রথম সারিতে।
ওই সময় মরহুম শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক (মুহাদ্দিস)-সহ (খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা) শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন আন্দোলন করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন