জেনে নিন কিভাবে আপনার পূর্বপুরুষরা জন্মনিয়ন্ত্রন করতো
সমাজে প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে, ‘জন্ম তো উপরওয়ালার হাতে’। তাহলে কী জন্ম নিয়ন্ত্রণ সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ? বর্তমানে মানুষের চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন আর কেউ আগের মতো করে ভাবে। এখন সকলেই সচেতন, সকলেই চায় ছোট এবং সুখী পরিবার গড়তে।
সমাজে জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর অনেক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। তবে আজ থেকে প্রায় কয়েকশ বছর আগে জন্ম নিয়ন্ত্রণের এসব আধুনিক পদ্ধতি প্রচলিত ছিলো না। সেই সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হতো অবৈজ্ঞানিক, অস্বাস্থ্যকর বিভিন্ন উপায়। এতে জন্মনিয়ন্ত্রণে সাফল্যের হার যেমন ছিল কম, তেমনি অস্বাস্থ্যকরও বটে।
লেবু: অতি পরিচিত লেবু এক সময়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হতো। ধারণা করা হতো সিটরাস এই ফলটি ডিম্বানুর বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। পুরুষেরা সম্পর্কে আগে লেবুর রস পুরুষাঙ্গে লাগিয়ে নিত। এটিকে কন্ডোমের আদি রূপ বলা যায়। তবে এক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধের হার শূন্য শতাংশ। অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হওয়ায় ডাচেরা এই পদ্ধতি পরিত্যাগ করে।
পেঁপে: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে এখনো জন্ম নিয়ন্ত্রণে পেঁপে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভপাতে কার্যকরী কাঁচা পেঁপে। বিশ্বাস করা হতো, পুরুষরা নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে তারা উর্বরতা শক্তি হারাবে এবং এক পর্যায়ে শূন্যে পৌঁছাবে। আবার যখন পেঁপে খাওয়া বন্ধ করবে তখন পুনরায় সন্তান ধারণের ক্ষমতা ফিরে পাবে।
নেকড়ের মূত্র: মধ্যযুগে প্রচলিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে নেকড়ের মূত্র ব্যবহার। সংসর্গের ঠিক পর মুহূর্তেই নারীর যৌনাঙ্গে নেকড়ের মূত্র স্প্রের মাধ্যমে ছিটিয়ে দেয়া হতো। আশ্চার্য হলেও সত্যি এখনো অনেক জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়িতে নেকড়ে কিংবা গর্ভবতী ঘোড়ার মূত্র ব্যবহার করা হয়।
হাঁচি: হাস্যকর শোনালেও এই পদ্ধতিতে সাফল্যের হার দশ ভাগের একভাগ। সংসর্গের সবচেয়ে উপভোগ্য মুহূর্তে নারীকে হাঁটুতে ভর দিয়ে বসে নাক চেপে ধরে হাঁচি দিতে বলা হয়। ধারণা করা হয়, এর মাধ্যমে শরীর থেকে শুক্রানু বের হয়ে যাবে।
তেল এবং পারদের মিশ্রণ: প্রাচীন যুগে চীনে নারীদের খালি পেটে তেল এবং পারদের মিশ্রিত এক প্রকার পানীয় খাওয়ানো হতো। ধারণা করা হতো সংসর্গের সঙ্গে সঙ্গে অথবা তিন দিনের মধ্যে খালিপেটে এই পানীয় পান করতে সন্তান ধারণের সম্ভবনা থাকে না। এই পানীয় শুক্রানু ধ্বংস করে এবং কোনো ডিম্বানু থাকলে সেটিও ধ্বংস করে। যদিও জন্ম নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকরী এক উপায়। উর্বরতা নষ্ট করতেও এটি সহায়ক।
আদা-ভিনেগার দিয়ে গোসল: প্রাচীনকালে যেকোনো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নারীদেরকে ঠেলে দেয়া হতো, এতে কোনো সন্দেহ নেই। নারীদের মাধ্যমে পরীক্ষিত জন্ম নিয়ন্ত্রণের আরেকটি পদ্ধতি হলো আদা-ভিনেগার দিয়ে গোসল। যৌন সংসর্গের পর নারীদের আদা-ভিনেগার মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গোসল করতে বলা হতো। পানিতে বেশি পরিমাণে আদা এবং ভিনেগার মেশানো হতো। বাথটাব থেকে যতোক্ষণ না আদা এবং ভিনেগারের মিশ্রণ ধুয়ে যেতো, ততক্ষণ তাদের পানিতে বসে থাকতো হতো। বলা হতো, ওই মিশ্রনের সঙ্গেই নারীর দেহ থেকে শুক্রানু ধুয়ে যাবে;
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন