শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

জেনে নিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনের এক অজানা কাহিনি

এ কাহিনি গুজরাত জানে। জলে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন বালক নরেন্দ্র। শোনা যায়, একটি জ্যান্ত কুমিরকে নাকি ডাঙায় তুলে এনেছিলেন। আর বড় হয়ে সত্যি সত্যিই হাঙর ধরলেন। ভারতীয় রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করলেন।

গুজরাতের বড়ানগরের দরিদ্র পরিবারের সন্তান নরেন্দ্র মোদী। সেই বালক এক দিন সত্যি সত্যিই নদীতে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। তখন কে জানত এই ছেলেই বড় হয়ে আরও বড় জলে নামবেন। ডাঙায় তুলবেন হাঙরকে!

জেনে নেওয়া যাক সেই বালকের কাহিনি। এই কাহিনি প্রধানমন্ত্রীর সব জীবনীকাররাই তাঁদের বইতে লিখেছেন। আজকের নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী নিয়মিত স্নান করতেন বড়ানগরের শর্মিষ্ঠা সরোবর। লোকে বলত ওই সরোবরে অনেক কুমির রয়েছে। কিন্তু সেই সব সাবধান বাণীকে পাত্তা না দিয়েই শর্মিষ্ঠা সরোবরে নিয়মিত এপার-ওপার করত বালক নরেন্দ্র।

তখন তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। একদিন সাঁতরে পারে ওঠার পরে দেখা যায় তাঁর হাতে একটা ছোট কুমির ছানা। সকলে চিৎকার করে উঠছিল— ‘ফেলে দে ফেলে দে।’ ফেলেও দিয়েছিলেন সবার কথা শুনে। পরে নাকি নরেন্দ্র বলেছিলেন, ‘মগর মাছ মানে যে ভয়ঙ্কর ব্যাপার সেটা বুঝতে পারিনি।’

যে কাহিনি শোনা যায়, তাতে ওই সরোবরের মাঝখানে ছিল একটি কৃষ্ণ মন্দির। প্রবল বৃষ্টিতে সেবার

গোটা মন্দিরটাই জলের নীচে চলে যায়। এমনকী তার চূড়ায় যে গেরুয়া পতাকা ছিল সেটাও জলে ভেসে যায়। নিয়ম ছিল সেই পতাকা বছরের একটি বিশেষ দিনে বদলাতে হয়। কিন্তু সেই পতাকা ভেসে গেলে কী হবে? গ্রামের অকল্যাণ হবে না তো! গোটা গ্রামেই ছিল আতঙ্ক। কিন্তু তার থেকেও বড় আতঙ্ক ছিল কুমির নিয়ে। কে নামবে জলে? সাহসী বালক নরেন্দ্র কিছু না ভেবেই ঝাঁপ দিয়েছিল। পুরনো পতাকা নামিয়ে নতুন গৈরিক পতাকা বসিয়ে দিয়ে এসেছিলেন মন্দিরের চূড়ায়। আর তখনই জল থেকে ওঠার সময় হাত নিয়ে এসেছিল জ্যান্ত কুমির ছানা।

ভারতীয় রাজনীতিতে স্বাধীনতার পর থেকে বেড়েছে পরিবারতন্ত্র। শুধু কেন্দ্রে নয়, গোটা দেশেই সেই পরিবারতন্ত্রের ছায়া দেখা গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু থেকে ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী হয়ে সনিয়ার হাতে এসেছে কংগ্রেসের রাশ। এখন রাহুল গাঁধী। কিন্তু দেশের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা এখন অনেক দূরের হয়ে গেল গাঁধী পরিবারের কাছে। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে দু’টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। সনিয়া ও রাহুল। সেটাও মুলায়ম সিংহের সমর্থনে। অন্য দিকে, সমাজবাদী পার্টি জিতেছিল পাঁচটি আসনে। তাঁরা সকলেই ছিলেন যাদব পরিবারের সদস্য। এঁদের বিরুদ্ধেও প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস।

অন্য দিক থেকে উত্তরপ্রদেশের যাদব পরিবারও কম যায় না। মুলায়ম সিংহ পরিবারে অনেক কোন্দল থাকলেও উত্তরপ্রদেশের ‘যাদব-বংশ’-ই দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক পরিবার। চমকে যেতে হয় যাদব পরিবারের বংশ-তালিকা দেখলে। সেখানে সবাই নেতা, সবাই বড় বড় দায়িত্বে। সমাজবাদী পার্টির কর্তৃত্ব হারালেও সেই পরিবারের কর্তা মুলায়ম সিংহ যাদব। বিধানসভা নির্বাচনেও ‘নেতাজি’ মুলায়ম সিংহ যাদবের গোটা পরিবারই অংশ নিয়েছিল। ছেলে অখিলেশ থেকে ছেলের বউ ডিম্পল, অপর্ণারা রাজনীতির সামনের সারিতে। এছাড়াও ভাই, ভাইপো, ভাইপো বউ, শ্যালক কাউকেই রাজনৈতিক ‘মধুভাণ্ড’ থেকে বঞ্চিত করেননি মুলায়ম সিংহ যাদব। এ বার উত্তরপ্রদেশের ফল বলে দিল আর ‘পরিবারতন্ত্র’-এর পাশে নেই মানুষ।

রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, দেশের দুই বড় রাজনৈতিক পরিবার একসঙ্গে জোট বেঁধে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল উত্তরপ্রদেশে। আর রাজ্যে বিজেপির উত্থানে দু’টি পরিবারই কার্যত কোণঠাসা। সত্যি সত্যিই মোদীর হাতে বধ হল রাজনৈতিক ‘হাঙর’ পরিবারতন্ত্র।

নরেন্দ্র মোদীর পরিবার রাজনীতিতে নেই। আগামী দিনে তেমন কোনও সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে অন্য এক পরিবারের ভূমিকা বড় করে তুললেন নরেন্দ্র মোদী— ‘সঙ্ঘ-পরিবার।’ সেটা ভারতীয় রাজনীতির পক্ষে কতটা মঙ্গলকর হবে সেটা বলবে ভবিষ্যৎ।-এবেলা

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ