জেলহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আগামী ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় সোমবার সন্ধ্যায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালোব্যাজ ধারণ। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত। রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামরুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় স্মরণ সভা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পরে খুনি মোশতাক ও জিয়াচক্র এদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, কোনদিন যাতে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান জেলখানার অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে গুলি করে ও বেয়নেট খুঁচিয়ে হত্যা করে।
জাতির পিতার আজীবন রাজনৈতিক সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী ও এ. এইচ এম কামরুজ্জামানকে এই দিনে জেলখানার অভ্যন্তরে হত্যা করে।
মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুর সাক্ষী হচ্ছে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এদেশেকে স্বাধীন করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে এদেশের জনগণকে একত্রিত করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঠিয়ে ধরেছে সেই চার নেতাকে চরম নির্মমতার স্বাক্ষর রেখে ৩ নভেম্বরে হত্যা করা হয়।
বাংলার জনগণ মহান মুক্তিয্দ্ধু পরিচালনাকারী, স্বাধীন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম. মনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ. এম কামরুজ্জামানকে আজীবন স্মরণ করবে। সেই থেকে ৩ নভেম্বর দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি কলঙ্কময় দিন।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমগ্র জাতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে শোকাবহ এ দিবসটিকে স্মরণ ও পালন করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সর্বস্তরের দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পালনের জন্য দলের সকল জেলা, উপজেলা শাখা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল শাখার নেতা-কর্মী-সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন