জয়ী হয়েই ট্রাম্পের হুংকার: আমেরিকা প্রাপ্যের চেয়ে কম নেবে না
নির্বাচনে জেতার কিছুক্ষণের মধ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রথম ভাষণেই দেশের অভ্যন্তরীণ শহরগুলোর সব সমস্যা সমাধানের ঘোষণার পাশাপাশি হুংকার দিয়ে বলেছেন, “আমেরিকা এখন আর প্রাপ্য কিছুর চেয়ে কম মেনে নেবে না।”
ট্রাম্প বলেন, “আমরা অভ্যন্তরীণ শহরগুলোকে ঠিকঠাক করব। সেসব মানুষকে মনে করে কাজ করব যাদের অন্যরা ভুলে গেছে। আমরা মহাসড়ক, সেতু, বিমানবন্দর, সুড়ঙ্গপথ, হাসপাতালসহ অবকাঠামোগুলো পুনর্নির্মাণ করব, যা কোনো কিছুর কাছেই কখনো দ্বিতীয় হবে না। দেশ গড়ার কাজে আমরা আমাদের কোটি কোটি জনগণের কর্মসংস্থান করব।”
পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে সংক্ষেপে ট্রাম্প বলেন, তার সরকার সেসব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাইবে। “আমরা আমাদের দেশের সর্বোচ্চ খেয়াল রাখব। বন্ধু দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই মধুর হবে।” দেশের স্বার্থকে সবার আগে রাখলেও পুরো বিশ্বের সঙ্গে সরকার ন্যায্য সম্পর্ক রাখবে বলে জানান তিনি, “আমরা সব দেশের সঙ্গে মতৈক্য খুঁজব, প্রতিকূলতা নয়, অংশীদারিত্ব খুঁজব, বিবাদ নয়।”
সবসময় সঙ্গে থেকে জয় আনার মতো নির্বাচনী প্রচারণার জন্য নিজের প্রচারণা শিবিরকে ধন্যবাদ জানান নতুন প্রেসিডেন্ট। বলেন, ১৮ মাসের প্রচারণা যাত্রায় মানুষগুলোকে খুব কাছ থেকে চিনেছেন তিনি। প্রচারণা শিবিরের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো ট্রাম্পের জীবনের সর্বোচ্চ মুহূর্ত।
জাতীয় প্রবৃদ্ধি এবং নবায়নের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প সরকার প্রকল্প হাতে নেবে বলে ভাষণে জানানো হয়। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের মেধাবী জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানো হবে। ট্রাম্প বলেন, “আমাদের হাতে ব্যাপক একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধিকে দ্বিগুণ করব এবং বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হবে আমাদেরটাই।”
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে তাকে নির্বাচিত করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। এরপর প্রথমে বাবা-মা ও একে একে পরিবারের সব সদস্য, দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বীসহ সব বন্ধু এবং সহকর্মীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাজনীতির মতো নোংরা যুদ্ধে পাশে থেকে সমর্থন দেয়ার জন্য। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “অনেকেই আমার বিজয়কে ঐতিহাসিক ঘটনা বলছেন। তবে এটা তখনই ঐতিহাসিক হবে যদি আমরা ভালো কাজ করতে পারি। আমি কথা দিচ্ছি আমি আপনাদের হতাশ করব না। আমাদের কাজ মাত্র শুরু হচ্ছে। আমি এমনভাবে দায়িত্ব পালন করব যেন আপনারা আপনাদের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে গর্ব করতে পারেন। আমি সত্যিই এই দেশটাকে খুব ভালোবাসি।”
সবশেষে ট্রাম্প তার রানিংমেট নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে সঙ্গে থাকার ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন