জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের জন্য ৩২৫ রানের পাহাড়ে চড়তে হবে শ্রীলঙ্কাকে। তবে পাহাড়ে চড়তে গিয়ে প্রথমেই পা হড়কাল স্বাগতিকরা। প্রথম ওভারেই ওপেনার গুনাতিলককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। গুনাতিলকে অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন তবে রক্ষা পাননি তিনি।
এরপর মাশরাফি ও মেহেদী হাসান মিরাজের বলে কোনোমতেই সুবিধা করতে পারছিল না স্বাগতিকরা। রানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও থারাঙ্গা ও কুশল মেন্ডিসকে আটকে রাখেন এই দুজন।
রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। এটি ওয়ানডেতে তাঁর প্রথম উইকেট। মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দেন মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার রান তখন ১৫।
অধিনায়ক থারাঙ্গা উইকেটে থাকলেও কখনই সাবলীল ছিলেন না তিনি। শেষে অধৈর্য হয়ে তাসকিনের বলে মাশরাফিকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান লঙ্কান অধিনায়ক। ২৯ বলে ১৯ রান করেন তিনি। লঙ্কানদের রান তখন মাত্র ৩১!
এরপর গুনারত্নেকে নিয়ে লঙ্কানদের জুটিটা এগোতে থাকেন চান্দিমাল। এই জুটির রানটা যখন ৫৬, সাকিবের বলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ক্যাচ দেন গুনারত্নে। আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে ২৪ রান করেন গুনারত্নে।
গুনারত্নে ফিরলেও শ্রীলঙ্কাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন দীনেশ চান্দিমাল। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
এরপর বেশ ভালোই খেলছিলেন সিরিবর্ধনে ও পাথিরানা। তবে স্বাগতিকদের ষষ্ঠ ধাক্কাটা দেন মুস্তাফিজুর রহমান। সিরিবর্ধনেকে শুভাগতের ক্যাচে পরিণত করেন কাটার মাস্টার। ২৫ বলে ২২ রান করেন সিরিবর্ধনে।
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আবার লঙ্কান ইনিংসে আঘাত করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ফিরেই পাথিরানাকে প্যাভিলিয়নমুখী করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩২ বলে ৩১ রান করেন পাথিরানা।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে রানের পাহাড় দাঁড় করায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের শতকে ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩২৪ রান করেছে মাশরাফির দল। তামিম ইকবাল ১২৭, সাকিব আল হাসান ৭২ ও সাব্বির রহমান ৫৪ রান করেন।
আজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে মাশরাফি বাহিনী। দাম্বুলায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পঞ্চম ওভারেই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। সুরঙ্গা লাকমলের বলে উইকেটরক্ষক দীনেশ চান্দিমালকে ক্যাচ দেন সৌম্য। দলের রান তখন ২৯। ১৩ বলে দুই চারে ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য।
সৌম্য আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালান তামিম-সাব্বির। আক্রমণাত্মক খেলে ৪৮ বলেই অর্ধশতকে পৌঁছান সাব্বির। তবে এরপরই গুনারত্নের বলে থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যান। ৫৬ বলে ৫৪ রান করেন সাব্বির। পরের ওভারে মুশফিকের উইকেটটি নেন লক্ষ্মণ সান্দাকান।
সাব্বির আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে স্কোরের চাকাটা সচল রাখার কাজ করেন তামিম ইকবাল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৪৪ রান যোগ করেন তামিম-সাকিব। দলীয় ২৬৪ রানে আউট হন সাকিব। ৭১ বলে ৭২ রান করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
৪৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হন তামিম। ১৪২ বলে ১২৭ রান করেন তিনি। ১৫টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তামিম।
শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩২৪ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন