ঝাল খাবার খেয়ে পানি খাওয়া ঠিক না
বাঙালিরা সাধারণত ঝাল খাবার খেতে ভালোবাসেন। তাই খাবারের স্বাদ বাড়াতে লাল মরিচ, কাঁচামরিচ এসব ব্যবহার করেন। কিন্ত প্রায়ই ঝাল খাবারের পর সকলেই একটি ভুল কাজ করেন। সেটি হলো, মসলাযুক্ত ঝাল খাবার খাওয়ার পর বেশি ঝাল অনুভূত হলে অনেকখানি ঠান্ডা পানি পান করে ফেলি। যা মোটেও ঠিক না।
আসলে খাবার খাওয়ার পর বেশি ঝাল লাগলে জিহ্বা জ্বালাপোড়া, নাক-চোখ দিয়ে পানি আসে। আর এর থেকে পরিত্রান পেতে বেশির ভাগ সময় পানিকেই বেছে নিই। তবে গবেষণা বলছে, ঝাল কমানোর জন্য পানি খাওয়ার অভ্যাসটি ঠিক নয়। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে অনলাইন প্রকাশ করেছে প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলা হয় ঝাল খাবারের পর পানি খেলে দেহে কী হয়? আগে বলি, ঝাল খাবার কেন ঝাল হয়? মূলত কেপসেইকিন উপাদান থাকার কারণে এ ধরনের খাবার ঝাল লাগে। ঝাল খাবারের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো সরাসরি মস্তিষ্কে ক্রিয়া করে, এতে মুখে ঝালভাব অনুভূত হয়।
তাহলে পানি কী এই ঝাল কমায়? গবেষণায় বলা হয়, রাসায়নিক উপাদান কেপসেইকিন হলো নন পোলার মলিক্যুল (মেরুহীন অণু)। তবে পানির অণুর মেরু আছে। পানি মুখের ঝালভাবকে প্রশমিত করে না। কাজেই ঝাল কমাতে পানি পান করে আসলে কোনো লাভ নেই। পানি বরং ঝালের অনুভূতি মুখের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে দেয়। এই কারণে ঝালের অনুভূতি আরো বেড়ে যায়। এই ঝালভাব আমাদের পিপাসা আরো বাড়িয়ে দেয়।
তাহলে ঝাল থেকে মুক্তির উপায় কী? পানি ছাড়া অন্য কোনো পানীয়, যেসব পানীয়ের অণুর গঠন পানির মতো নয়, সেসব ব্যবহার করে এই ঝাল অনুভূতি কমাতে পারেন, যেমন- দুধ। দুধের আণবিক গঠন পানির মদো মেরুহীন নয়। এটি ক্যাপসেইকিনের ঝাঁঝালো বিষয়টি নষ্ট করে দেয়।
তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাবারের পর বেশি ঝাল লাগলে পানি পান না করাই ভালো, কারণ এতে ঝাল অনুভূতি মুখের ভেতর আরো ছড়িয়ে যায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন