রবিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ঝিনাইদহের মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক এখন ভিক্ষুক ! এ লজ্জা কার ?

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
১৯৭১ থেকে ২০১৬। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পার করেছে বাংলাদেশ। সেদিনকার সাড়ে ৭ কোটি বাঙ্গালী এখন ১৭ কোটি ছুই ছুই। উন্নয়ন আর উৎপাদনে বদলে গেছে বাংলাদেশ। সব কিছুতে আধুনিকতার ছাপ। কিন্তু পাল্টায়নি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের ভাগ্য। বাংলা জয় করা এই মুক্তিযোদ্ধা অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

বয়সের ভারে কাজ করতে না পারায় তার পেশা এখন ভিক্ষা। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় ভাগ্যে জোটেনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ী মাগুরা সদর উপজেলা নিজনান্দুয়ালি গ্রামে। তিনি যুদ্ধ করেছেন শৈলকুপা অঞ্চলে। জীবীকার তাগিদে ভিক্ষা করেন ঝিনাইদহের বিভিন্ন গ্রামে। স¤প্রতি ভিক্ষা করতে দেখা গেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ভারতের বনগাঁ কাঠাল বাগান এলাকায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রহমত আলী মন্টুর নেতৃত্বে শৈলকুপার আলফাপুর, কুমিরাদহ, আবাইপুর, এ বাগনী এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার সামনে অনেক সহযোদ্ধান মৃত্যু দেখেছেন। দেখেছেন অনেক রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা সাজতে।

অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৫ বছর পুর্তি হলেও আজও তার স্বীকৃতি মেলেনি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তার পরিচয় পত্র দিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী। শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রহমত আলী তার সনদপত্র দিয়েছেন। মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের ১২৫ নং তালিকায় তার নাম থাকলেও স্বীকৃতি পাননি তিনি।

সরকারী সহযোগিতার জন্য তিনি বার বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিলেও তার কথায় কর্ণপাত করেনি কেউ। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তো দূরের কথা, বয়স্ক ভাতাও জোটেনি তার কঁপালে। অসুস্থ্য আব্দুর রাজ্জাক একদিন ভিক্ষায় বের হতে না পারলে অভুক্তই থাকতে হয় সারাদিন। চিকিৎসার অভাবে প্রায়ই রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে।

রাজ্জাক সম্পর্কে শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রহমত আলী মন্টু বলেন, আব্দুর রাজ্জাক আমার নেতৃত্বে বেশ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার স্বীকৃতি মেলেনি। আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ী পার্শবর্তী জেলায় হওয়ার কারণে আমি তার জন্য কিছুই করতে পারছি না।

এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নবুয়াত হোসেন মোল­া বলেন, আব্দুর রাজ্জাককে সেভাবে আমি চিনি না। তিনি হয়তো অন্য এলাকায় যুদ্ধ করেছেন। মাগুরা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড হয়তো তার বিষয়ে জানতে পারেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

  • যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
  • গাজায় অনাহারে ২ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু
  • যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের ভিসার মেয়াদ
  • সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে ছাই
  • চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
  • রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কথা মাথায় রেখেই দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে
  • বিএনপি সুশাসনে ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে
  • ভাতার ১ম কিস্তি শুরু; গর্ভবতী ভাতার আবেদন শর্ত