ঝিনাইদহে বিজিবির গুলিতে নিহত ১
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মাটিলা গ্রামে বিজিবির গুলিতে একজন নিহত হযেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরো দুজন। ভারত থেকে গরু আনা নিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে ‘সংঘর্ষের’ সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন মাটিলা গ্রামের আবদুল মালেক চৌধুরীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৮)। আহত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ফিরোজ ও মৃত আজিবরের ছেলে বাবলু।
যশোরে বিজিবির ২৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবির পরিচালক জানান, সন্ধ্যায় একদল গরু পাচারকারী ভারত থেকে সীমান্ত পার হয়ে গরুসহ দেশের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এ সময় মহেশপুরের জুলুলী বিওপির বিজিবির টহল দল তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার জন্য বিজিবি পাঁচ-ছয়টি গুলি চালালে ঘটনাস্থলে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
তবে তাঁর নাম বলতে পারেননি লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেন। আহতদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন রাত ৮টার দিকে জানিয়েছেন, বিজিবির গুলিতে গ্রামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর বেশি কিছু জানাননি তিনি।
অপর দিকে ঘটনাস্থল থেকে মাটিলা বাজারের দোকানি আশরাফুল জানান, সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি ভারত থেকে একটি বাছুর গরু নিয়ে সীমান্তপার হয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে। জুলুলী ক্যাম্পের সুবেদার শিশির কুমারের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন বিজিবি সদস্য তাঁকে ধাওয়া করে আটক করতে ব্যর্থ হয়। এ সময় মাটিলা বাজারের দোকানে বসে থাকা গ্রামবাসীর কাছে বিজিবির সদস্যরা কে গরু এনেছে মর্মে জানতে চান। বাজারের উপস্থিত গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানাতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা তাঁদের লাঠিপেটা শুরু করেন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোক বাজারে ছুটে আসেন। তাঁরা বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করার একপর্যায়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিজিবি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রফিকুল। গুলিবিদ্ধ হন অপর দুজন। তাঁদের মধ্যে ফিরোজের বুকে ও বাবলুর হাতের তালুতে গুলি লেগেছে। তাদের যশোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুর আলম তালুকদার বলেছেন, ঘটনাস্থলে মহেশপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা নিহতের লাশ জুলুলী ক্যাম্পে নিয়ে গেছেন। গ্রামের লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে গ্রামেই অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি থমথমে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন