কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সংস্কৃতিপ্রিয়। এটা ভারতের অজানা নয়। তার পাশে অভিনেতা অভিনেত্রী ও গায়করা হরহামেশাই থাকেন। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর তাই তো তিনি বললেন, বিধানসভা নির্বাচনে তার পাশে ছিলেন যারা, তিনিও তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন এবার।

বুধবার সন্ধেবেলা ইকো পার্কে, টলিউডের সেলিব্রিটিদের সঙ্গে সময় কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকাদের সঙ্গে বিজয় অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতেই এই সান্ধ্য বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। চাইছিলেন, নির্বাচনের প্রচারে যারা তার সঙ্গে ছিলেন তাদের নিয়ে একটা ঘরোয়া আড্ডা, খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করতে। আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ‘ভেঙ্কটেশ ফিল্মস’কে, বকলমে শ্রীকান্ত মোহতাকে।

এদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন দেব, মিমি চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, সোহম, হিরণ, অনীক ধর, পায়েল সরকার, অরিন্দম শীল, তনুশ্রী চক্রবর্তী, সুবোধ সরকার, ইন্দ্রনীল সেন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি প্রমুখ।

মূলত তারাই, যাদের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল ভোট মরসুমে। মিমি-নুসরত শ্যুটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। বুধবার সকালেই তারা চলে আসেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। মমতা সাড়ে ছ’টা নাগাদ অনুষ্ঠানে আসেন। ছিলেন প্রায় দু’ঘণ্টা।

এদিন টলিউডের শিল্পীরা মমতার জন্য বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিকের পাঁচ কেজির সন্দেশ-কেক নিয়ে গিয়েছিলেন। দিদিকে তারা অনুরোধ করেন সেই কেক কাটার জন্যও। যদিও মমতা সে কাজে এগিয়ে দেন শিল্পী শুভাপ্রসন্নকে।

এসময় তিনি টলিউডের শিল্পীদের থেকে জানতে চান ইন্ডাস্ট্রির হালহকিকত। কোন কোন জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন, সে সব ব্যাপারেও খোঁজ নিয়েছেন তিনি। শ্রীকান্তদের নির্দেশ দিয়েছেন ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে তাকে দিতে।

অরিন্দম শীল বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী টলিউডের সমস্যাগুলো বিস্তারিতভাবে শুনলেন। কীভাবে কী করা যায় সেই নিয়ে আমাদের প্রস্তাব জমা দিতে বলেছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন।’