টাইগার খ্যাতি কি তারা নিম্নগামী করছে নাকি অন্য কোনো কারণ আছে…?
গত দুই থেকে তিন বছরে ক্রমাগত উত্থান ঘটেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। কিন্তু এই উত্থান শুধুমাত্র খেলার মাঠেই হয়েছে। মাঠের ভেতর দুর্দান্ত সাফল্যের পাশাপাশি মাঠের বাইরে এ দেশের ক্রিকেটারদের গায়ে লেগেছে একের পর এক কলঙ্কের দাগ। গত দুই বছরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন।
বাংলাদেশের পেস বোলার রুবেল হোসেনকে দিয়ে এই অধ্যায়ের সূচনা হয়। রুবেলের পর নাম আসে আরেক পেসার শাহাদত হোসেনের। আজ রবিবার এই তালিকায় সর্বশেষ নিজের নাম লেখালেন স্পিনার আরাফাত সানি।
গতি তারকা হিসেবে রুবেল হোসেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের কান্ডারি হয়ে ওঠেন। কিন্তু এই পেস বোলারকে ২০১৫ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে ধর্ষণ মামলার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একজন উঠতি মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
সে সময় হ্যাপী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, রুবেল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ সফরের জন্য জামিন পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলতে যান রুবেল। গ্রুপ ম্যাচে তার দুর্দান্ত বোলিং সেবার বাংলাদেশেকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যায়। মডেল হ্যাপীও শেষ পর্যন্ত রুবেলের বিরুদ্ধে তার দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
রুবেল হোসেনের পর গ্রেফতারের তালিকায় নাম পাওয়া যাবে শাহাদাত হোসেনের। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে এই ক্রিকেটারের বাসা থেকে তাদের শিশু গৃহকর্মীকে মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গৃহকর্মী শিশুটি জবানবন্দিতে আদালতে জানিয়েছিল, ক্রিকেটার শাহাদাত এবং তার স্ত্রী জেসমিন জাহান তাকে প্রতিদিন নির্যানত করত। ক্রিকেটার শাহাদাত তাকে রুটি বানানোর বেলন দিয়ে বারবার পেটাতেন। পরে সেই আঘাতের স্থানে তিনি নিজেই বরফ লাগাতেন।
এরপর পুলিশ শাহাদত হোসেন ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু পরবর্তীতে আদালতে শিশুটি তার সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। যার ফলে এই দম্পতি মুক্তি পান। শাহাদত হোসেন বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন। তবে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারেকাছেও নেই তিনি।
চলতি বছরের প্রথম মাসেই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরার অপেক্ষায় থাকা স্পিনার আরাফাত সানি আবার সংবাদ শিরোনাম হলেন।
জানা গেছে, সাবেক বান্ধবীর করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় এই তারকা ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক বান্ধবীর অনুমতি ছাড়াই বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন সানি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সেই বান্ধবীর ইনবক্সেও আপত্তিকর বক্তব্যের অভিযোগও রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট পাগল দেশ। এ দেশের ক্রিকেটারেরা তাদের নিজেদের ভক্তদের কাছে আইডল। কিন্তু তাদের এই অবস্থা এবার সত্যিকার অর্থেই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের টাইগারখ্যাতিই কি তাদের এভাবে নিম্নগামী করছে নাকি এতে অন্য কোনো ব্যাপার আছে সেটাই এখন ভাবনার বিষয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন