টাইগার পেসারদের দাপটে চাপে নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করা সম্ভব নয়। প্রতিপক্ষ দলে যখন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান থাকে তখন সেটা আরও কঠিন।
সেই কঠিন লক্ষ্যটাকে সহজ করার চেষ্টায় টিম টাইগার। রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ১৪২ রানের টার্গেট দেওয়ার পর বোলিংয়ে দাপট দেখাচ্ছেন পেসাররা।
কিউইদের দূর্গে প্রথম আঘাত হানেন বহুদিন পর দলে সুযোগ পাওয়া পেসার রুবেল হোসেন। দলীয় ২২ রানেই নেইল ব্রুমকে (৬) সাকিব আল হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর মঞ্চে আবির্ভূত হন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। তার বলে বিভ্রান্ত হয়ে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দেন কলিন মুনরো (০)। কিউইদের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব। সাকিবের ঘূর্ণিতে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন কোরি অ্যান্ডারসন (১৩)। এরপর মাশরাফি ও সৌম্যর সৌজন্যে রানআউট হয়ে ফিরে যান টম ব্রুস (৭)।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের রান ১০.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৬২।
মঙ্গলবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ টসে জিতে ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। ম্যাচের শুরু থেকেই সেই পুরনো ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। তবে ওয়ানডে সিরিজে ব্যার্থ হওয়ার পর এবার দলের হাল ধরেন নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। চাপের মধ্যে ব্যাট চালিয়ে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি উপহার দেন রিয়াদ।
দলীয় ৫ রানে প্রথম আঘাত হানেন ম্যাট হেনরি। তার বলে উইকেটকিপার লুক রঞ্চির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ইমরুল কায়েস (০)। তামিমের নতুন সঙ্গী হন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট খ্যাত সাব্বির রহমান। কিন্তু দলীয় ২৮ রানে বেন হুইলারের বলে ব্রুসের তালুবন্দি হন তামিম ইকবাল (১১)। সাব্বির ১ চার এবং ১ ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিয়েও সফল হননি। ২ রানের ব্যবধানে ফিরে যান তিনিও। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফার্গুসনের বলে হেনরির হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর যথারীতি ব্যর্থতার পরিচয় দেন সৌম্য সরকার (০)। ফার্গুসনের করা প্রথম বল মোকাবিলা করতে গিয়ে অ্যান্ডারসনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তাকে যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান লকি ফার্গুসন। তবে দুর্দান্ত ইয়র্কার ঠেকিয়ে তা হতে দেননি মাহমুদ উল্লাহ। সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সাথে জুটি বেঁধে এরপর বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন রিয়াদ। কিন্তু তেমন কোনো লাভ হয়নি। দুজন মিলে ৩৭ রানের জুটি গড়ার পর দৃষ্টিকটু ভাবে গ্র্যান্ডহোমের বলে স্যান্টনারের হাতে ধরা পড়েন সাকিব আল হাসান (১৪)।
দলের এই অবস্থায় নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দেখা দেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ এবং তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন। হাত খুলে মারতে থাকেন দুজনই। তাদের কল্যাণে আটকে থাকা বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুরতে থাকে। কিন্তু বেশিক্ষণ দলকে সুখী করতে পারেনি এই জুটি। ২ ছক্কায় ২০ রান করা মোসাদ্দেক হোসেন স্যান্টনারের বলে অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়েন। হার্ডহিটার হিসেবে খ্যাত অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজাও মাত্র ১ রান করে ফিরলে সব আশা যেন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। এরপর ৪৫ বল খেলে দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৮ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৫২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৪১। নেপিয়ারের ব্যাটিং স্বর্গে এই রান কতটা লড়াই করার সুযোগ দেবে সেটা একটা প্রশ্ন বটে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন