টাকা চুরির ঘটনায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা: অর্থমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা চুরির ঘটনায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মামলা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
মুহিত বলেন, ‘আমি জেনেছি, ওখান থেকে তারা (ফেডারেল রিজার্ভ) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বার্তা প্রেরণ করেন। আমরা তোমাদের এই রকম একটা হুকুম পেয়েছি। তোমরা এটা কনফার্ম কর। জবাবে তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) বলেছে, এটা ফলস। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনা পাওয়ার আগেই লেনদেনটা হয়েছে। সুতরাং ফেডারেল রিজার্ভ কোনোমতেই তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারবেন না।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের দায় অস্বীকারের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘অফ কোর্স (অবশ্যই)। আমরা কী করব, তার বিরুদ্ধে কেস (মামলা) করব। তাদের কাছে টাকা রাখছি, তারাই এই জন্য রেসপনসিবল (দায়ী)। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে কেইস করব।’
কোনো তদন্ত করা হবে কিনা- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশ ব্যাংক ভালো বলতে পারবে।’
এর আগে ফিলিপাইনের দৈনিক দ্য ইনকোয়েরার পত্রিকায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ১০ কোটি ডলার মানি লন্ডারিং হয়েছে বলে একটা খবর প্রকাশ করে। ওই খবরে বলা হয়, দেশটির মাকাতি শহরে অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের একটি শাখার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিলিপাইনে আসে। চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সেখানকার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়। হ্যাকার দল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনে পাচার করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ পাচারের এ ঘটনা তদন্ত করছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল।
গতকালই প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা চুরি যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে চুরি যাওয়ার টাকার একাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সোমবার বিকেলে একপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে চুরি যাওয়া টাকার পরিমাণ জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গভর্নর সচিবালয়ের (প্রটোকল) মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অবশিষ্ট টাকার গন্তব্য শনাক্ত করে আদায়ের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট ফিলিপাইনের একটি মানিলন্ডারিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ইতিমধ্যে ফিলিপাইনের ওই কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের আদালতে মামলা দায়ের করেছে। আদালত সন্দেহভাজন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের সাইবার বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক এবং তার একটি টিম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে।
ফিলিপাইনের ওই কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি টাকা আদায়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন