ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
টাকা দিলেই বৈধ, না দিলে অবৈধ!
আগামী ৭ মে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাত ইউনিয়নের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, যেসব প্রার্থী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে খুশি করতে পেরেছেন তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। আর যারা টাকা দেননি তাদেরটা অবৈধ করে দেওয়া হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন।
জানা গেছে, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুন্দর আলী এবং একই ইউনিয়নের একজন মেম্বার প্রার্থী ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের একজন মেম্বার প্রার্থীসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঝিনাইগাতি, হাতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটানিং এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একেএম জালাল উদ্দিন উল্লেখিত ইউনিয়নের একাধিক চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর কাছ থেকে তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ করার ভয় দেখিলে অর্থ আদায় করেছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, ওই কর্মকর্তাকে টাকা দিলেই মনোনয়ন বৈধ, না দিলেই অবৈধ। কাগজপত্র সব বৈধ থাকলেও হয়রানির ভয়ে সবাই কিছু না কিছু দিয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই পর্ব শেষ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মাহবুব আলী জানান, তার মনোনয়ন বৈধ হলেও নির্বাচন অফিস থেকে ছানা নামে এক কর্মচারি তাকে ফোন করে বলেন যে, ”আপনার মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর মিলছে না, আজ বিকেল ৫ টায় স্যারের (একেএম জালাল উদ্দিন) সাথে দেখা করেন।” পরে তিনি তার কথা মতো দেখা করে জানতে পারেন একহাজার টাকা দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, অন্যথায় মনোনয়নপত্র অবৈধ হয়ে যাবে। অগত্যা প্রার্থীতা বৈধ করার জন্য ছানার মাধ্যমে উপজেলা রিটানিং অফিসারকে একহাজার টাকা প্রদান করেন। একইভাবে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে অসংখ্য চেয়ারমান ও মেম্বার প্রার্থীর কাছে ফোন গেলে বাধ্য হয়েই প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্রের বৈধতা রক্ষা করেন অর্থের মাধ্যমে। এমন অভিযোগকারীদের মধ্যে হাতিবান্ধা ইউনিয়নের বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গিরের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, একই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী জয়নালের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকার মাধ্যমে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ করেন।
জয়নাল বলেন, ”আমি টাকার জন্য আমার হালের গরু বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।”
সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র বাতিলের হুমকি দিয়ে যাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে তাদের মনোনয়নপত্রে সামান্য নামের বানান, স্বাক্ষর সঠিক না থাকা, সঠিক স্থানে স্বাক্ষর না থাকা ইত্যাদি ভুল ছিল। আবার অনেকের আয় ও ব্যায়ের অংক না মেলায় তার মনোনয়নপত্র অবৈধ্য হলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসার একেএম জালাল উদ্দিন বলেন, এসব ভুয়া অভিযোগ দিয়ে কাজ হবে না। আপনারা নিউজ করতে চাইলে করেন, কোন অসুবিধা নাই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন