শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

টাঙ্গাইলে জমে উঠেছে নৌকা-ধানের শীষের ভোটযুদ্ধ

সরকারের দেয়া তফসিল অনুযায়ী আসন্ন পৌর নির্বাচনে টাঙ্গাইলে ৮টি পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। অবশিষ্ট তিন পৌরসভার মেয়াদ শেষ না হওয়া এবং নবঘোষিত দেলদুয়ার পৌরসভার সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় আপাতত এই চার পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে না। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আট পৌরসভায় আওয়ামীলীগ-বিএনপিসহ ২৫ জন মেয়র প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রচার প্রচারণাও চলছে যথারীতি। নির্বাচন ঘোষণার পূর্বে বর্তমানে গোপালপুর পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত মেয়র ছিলেন। বাকি ৭টি পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র রয়েছেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত প্রার্থীদের নিয়ে নতুন নতুন আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে নির্বাচনী এলাকায়। প্রচারণার শুরুতে জেলার রাজনৈতিক দলগুলোর অন্তঃকোন্দলের আলোচনা সমালোচনার পর আলোচনায় এসেছিল প্রার্থীদের ব্যক্তিত্ব নিয়ে।

ব্যক্তিত্বে সমালোচনার পর এবার আলোচনায় এসেছে জরিপের পালা। জেলার আটটি পৌরসভার মধ্যে কোন দলে প্রার্থী এগিয়ে বা পিছিয়ে রয়েছে এ নিয়ে চলছে জোড়ালো বিশ্লেষণ।

ক্ষমতাসীন দলের দখলে থাকা ৭টি পৌরসভায় ক্ষমতা আওয়ামী লীগ ধরে রাখেতে পারবে কিনা।

অন্যদিকে বিএনপি তাদের একটি পৌরসভার ক্ষমতা ধর রাখতে পারবে কি না। এ নিয়ে আলোচনা এখন শীর্ষে।

যদিও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের নেতাকর্মীদের দাবি, তাদের উভয় দলের স্ব-স্ব প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। জয়ী হওয়া নিয়েও মন্তব্য করেছেন উভয় দলের জেলার কর্ণধাররা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জানান, জেলার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।

অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা জানান, অবাধ-নিরোপেক্ষ নির্বাচন হলে এবং ভোটাররা ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হবেন।

নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে উভয় দলের নেতাকর্মীদের অঘাত বিশ্বাস থাকলেও এর নির্বাচনী সরজমিন পর্যবেক্ষণে বেরিয়ে এসেছে ব্যতিক্রম প্রতিবেদন।

জেলার আটটি পৌরসভা এবং স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় আটটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি পৌরসভাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা ৭টি পৌরসভা থেকে আজ পর্যন্ত ৪টি পৌরসভায় তাদের নির্বাচনী আমেজ ধরে রাখতে পেরেছে।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন, টাঙ্গাইল সদরে দু-দুবারের নির্বাচিত মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, মির্জাপুরে সাহাদৎ হোসেন সুমন, সখিপুরে আবু হানিফ আজাদ ও মধুপুর পৌরসভায় মাসুদ পারভেজ।

বিএনপিও চারটি পৌরসভায় তাদের নির্বাচনী আমেজ ধরে রাখতে পেরেছে। এতে ১টি পৌরসভায় ক্ষমতায় থাক বিএনপির অবস্থান এখন ৪টি পৌরসভাতে ভাল । বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন, ভূঞাপুরে আব্দুল খালেক মন্ডল, গোপালপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান মেয়র খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, কালিহাতীতে আলী আকবর জব্বার ও ধনবাড়ী পৌরসভায় আব্দুস সোবহান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, টাঙ্গাইলের আটটি পৌরসভায় যদি একটি পৌরসভার চেয়ে বেশি পৌরসভাতে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জয়ী হয় সেক্ষেত্রে দায়ী হবে আওয়ামী লীগ নিজেরাই। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কথা না শুনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এলাকা ঘুরেও একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। যে সকল পৌরসভাতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে ঐসব পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী পিছিয়ে রয়েছে। বরং কোন কোন পৌরসভাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

যেসকল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছে সেইসব নির্বাচনী এলাকার স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হলে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে।

অন্যদিকে যেসব পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এগিয়ে রয়েছে, সে অঞ্চলের ভোটাররা জানান, আওয়ামী লীগের ভোট আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হচ্ছে। এজন্য বিএনপি একক প্রার্থী থাকায় বিএনপি প্রার্থী জয়ী হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন তারা।

তবে, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, বিদ্রোহী প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর ক্ষতি করতে পারবে না। মনোনীত প্রার্থীর হয়েই কাজ করছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এদিকে নির্বাচনী মাঠে জমেছে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই। প্রার্থীদের জোড়ালো প্রচারণা চলছে পৌর এলাকায়। নির্বাচনী উৎসব বিরাজ করছে আটটি পৌরসভায়। প্রথমবারের মতো পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনেকটা জাতীয় নির্বাচনে রূপ নিয়েছে। প্রার্থীর ব্যক্তিত্বে পাশাপাশি প্রতীকও গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে জয়ের স্বপ্ন নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দুই দলের প্রার্থীরাই।

আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে এবং বিএনপি আগের চেয়ে ভাল করতে রাত-দিন একাকার হয়ে ভোট প্রার্থনায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন উভয় দলের প্রার্থীরা। উন্নয়নের আশ্বাস আর কথার ফুলঝুরি নিয়ে ভোটারদের মুখোমুখি হচ্ছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা নির্বাচন কমিশন ও জেলার পুলিশ প্রশাসন। তবে জেলা প্রসাশনের কঠোরতার ওপরই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া-না হওয়া নির্ভর করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল