টানা তিন ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লজ্জাজনক হার
পরাজয়ের হ্যাট্রিক করল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে বিপিএলের চলতি আসরে তৃতীয় জয় তুলে নিল খুলনা টাইটান্স!
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টানা তৃতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। খুলনা টাইটান্সের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৫ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে রানেই গুটিয়ে যায় কুমিল্ল। ফলে রানের জয় পায় খুলনা টাইটান্স।
মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এ কি অবস্থা! এবারের বিপিএলে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমের পর এবার মাহমুদ উল্লাহর কাছেও হারলেন মাশরাফি। অন্য সবাই ম্যাচ জিতলেও এখনো কোনো পয়েন্ট পায়নি কুমিল্লা। রবিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৩ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইটান্স। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল খুলনা।
মাশরাফি বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রথম ৩ উইকেট নিয়ে দারুণ গতিতে এগুনো খুলনা পথ হারাল। নিয়মিত উইকেট হারাতে হারাতে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানে থামলো তারা। এর জবাবে মিরপুরে ব্যাট হাতে মাশরাফিরা পুরোপুরি ম্যাচে ছিল না কখনোই। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩১ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।
কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৩ নম্বরে মারলন স্যামুয়েলসের ৩০ ও ওপেনার ইমরুল কায়েসের ২১ বড় স্কোর। ১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত আরো চারটি স্কোর তাদের। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। শফিউল ইসলাম বোল্ড করেন স্যামুয়েলসকে। ওখানেই বুঝি ম্যাচটা জিতে যায় তারা। শেষের দিকে রশিদ খান (১০) ও সোহেল তানভির (অপরাজিত ২১) কিছুটা উত্তেজনা এনেছিলেন। কিন্তু দুটি রান আউটে শেষ সব। শেষ ২ ওভারে ২৪ রান করা হয়নি কুমিল্লার। শফিউল ও জুনায়েদ খান ২টি করে উইকেট নেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা বিপিএলে নিজেদের এবারের সর্বোচ্চ রানই করে। তবে হতে পারতো আরো বেশি। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯২ রান ছিল তাদের। ৫ রান ওপেনিং পার্টনারশিপে। হাসানুজ্জামান (৩৭) ও আন্দ্রে ফ্লেচার (২৩) ৪.৪ ওভারে এই রান দিলেন। এরপর শুভাগত হোমের (১৬) সাথে ৪৭ রানের জুটি হাসানুজ্জামানের।
ফ্লেচার এবারের আসরে মাশরাফির প্রথম শিকার। আগের দুই ম্যাচে উইকেট পাননি। অন্যরা যখন মার খাচ্ছেন তখন আক্রমণে ফিরে ১১তম ওভারের প্রথম বলে শুভাগতকে আউট করলেন। ৭ রান পর ফেরালেন হাসানুজ্জামানকেও। লড়াইয়ে ফেরালেন বোলারদের।
সেই পথ ধরে সোহেল তানভির, প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লেগি রশিদ খান, নাজমুল হোসেন শান্ত অফ স্পিনে ভালো বল করলেন। মাহমুদ উল্লাহ (১১) ও অলক কাপালি (৩) নাজমুলের শিকার পর পর দুই ওভারে। ১১৭ রানে ৫ উইকেট থেকে উইকেট হারাতে হারাতেই শেষ পর্যন্ত গেছে খুলনা। শেষ চারের ৩ উইকেট তানভিরের। খুব বড় সংগ্রহ তারা পায়নি। মাশরাফি ও তানভিরের ৩ উইকেট। নাজমুলের ২টি। ১টি রশিদের। বোলাররা প্রতিপক্ষের বড় স্কোর ঠেকালেও ব্যাটসম্যানরা আরেকটি হার এড়াতে পারেননি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন