টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল রাজশাহী কিংস
বৃথা গেল না অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির ব্যাটিং তাণ্ডব। খুলনার বোলারদের সামনে অসহায় সতীর্থদের মাঝে দাঁড়িয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন দলকে। এরপর বোলারদের দাপটে খুলনা টাইটান্সকে ৯ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল রাজশাহী কিংস। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবারের দ্বিতীয় খেলায় টসে জিতে ব্যাটিং করে খুলনাকে ১৫৫ রানের টার্গেট দেয় রাজশাহী কিংস।
রাজশাহীর দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে দলীয় ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। ফিরে যান ওপেনার হাসানুজ্জামান (১)। সাব্বির রহমানের দারুণ থ্রো তে উইকেটকিপার উমর আকমল স্ট্যাম্প ভাঙতে ভুল করেননি। দলীয় ১৫ রানে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শুভাগত হোম (২)। নাজমুল ইসলামের বলে জুনায়েদ সিদ্দিকীর হাত ক্যাচ দেন তিনি। এরপর ক্রিজে এসে ওয়েসেলসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রিয়াদ। এই জুটিতে ৪৭ রান আসার পর ড্যারেন স্যামির বলে বোল্ড হয়ে যান রিকি ওয়েসেলস। ৩২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করেন তিনি।
এরপর রিয়াদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নিকোলাস পুরান। ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন তিনি। ৬ রানের ব্যবধানে ফিরে যান খুলনার আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে থাকা অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। আবুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে যাওয়ার আগে তিনি ৩৩ বলে ৩ চার এবং ১ ছক্কায় ৩৩ রানের অতি প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলেন। আরিফুল হকের সাথে ২২ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান বল হাতে সফল কেভিন কুপার। জয়ের জন্য খুলনার শেষ ওভারে খুলনার দরকার হয় ১৯ রান। কিন্তু সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি মাহমুদ উল্লাহ বাহিনী। ফলে ৯ রানের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় রাজশাহী কিংস।
এর আগে খুলনার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানেরা যখন খাবি খাচ্ছিল তখন এক প্রান্তে অবিচল থেকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে দলকে লড়াই করার মত স্কোর এনে দেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। সন্ধ্যার ম্যাচে দলীয় ২৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় রাজশাহী। মাহমুদ উল্লাহর ঘূর্ণি বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১২ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১২ রান করা মমিনুল হক। ৮ রানের ব্যবধানে শফিউল ইসলামের শিকার হন আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী (২১)। ব্যাট হাতে আশা জাগালেও মোশাররফ হোসেনের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন সাব্বির (১৬)। ১০ রানের ব্যবধানে কেভিন কুপারের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে যান উমর আকমল (৯)।
এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সামিট প্যাটেল এবং অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। দুজনে মিলে ১৯ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন সামিট। কেভিন কুপারের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন ২৩ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করা সামিট। এক রানের ব্যবধানে রানআউটের শিকার হন মেহেদী হাসান মিরাজ (১)। দলের এমন বিপর্যয়ে উইকেটে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে যান অধিনায়ক স্যামি। ২৬ বলে ৫০ রানের মাইলফলকে পৌঁছার পর ৩৪ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসটিতে রয়েছে ৪ টি চার এবং ৫ টি ছক্কার মার।
সপ্তম উইকেটে ২৬ রানের জুটি গড়ার পর দলীয় ১১৬ রানে আবারও উইকেট পতন। শফিউল ইসলামের বলে কেভিন কুপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ফরহাদ রেজা (৩)। স্যামির ব্যাটিং তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। খুলনার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন কেভিন কুপার এবং শফিউল ইসলাম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন