চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে পাত্তাই দিল না রংপুর
৯ উইকেটের জয়। ৩ ওভার হাতে রেখে। কি বলবেন একে? রংপুর রাইডার্স তো বিপিএলে দিনে দিনে আরো শাণিত। এবার তারা উড়িয়ে দিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। টানা পঞ্চম ম্যাচে হারলো কুমিল্লা। আর রংপুর পঞ্চম ম্যাচ চতুর্থ জয় তুলে নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের সাথে শীর্ষস্থানে উঠে এল।
টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে রানের চাকা আটকে রেখেছিল রংপুর। কিছুই মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের পক্ষে যাচ্ছে না। ঢাকার টানা চার হারের পর চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচেই জয়ে ফিরতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ১২২ রান তোলে তারা। আগের দিনই রংপুর ৬ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিল। বরিশাল বুলসকে হারিয়েছিল। তাদের কাছে কুমিল্লার রানটা বড় হয়ে দেখা দেয়নি। ১৭ ওভারে ১ উইকেটে ১২৬ রান রংপুরের।
এবারের আসরে দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। ৪৯ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। মোহাম্মদ মিথুন আগের ম্যাচে ফিফটি করে ফর্মে ফিরেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার শাহজাদের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাচ জেতানো অবিচ্ছিন্ন ৯৭ রানের জুটি গড়েছেন। মিথুন ৩৯ বলে ৩টি ছক্কা ও ১টি চারে ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সৌম্য সরকার বড় রান পেলেন না লো স্কোরিং এবং চাপ মুক্ত এই ম্যাচেও। ১৫ বলে ২২ রান করে মাশরাফির শিকার হয়েছেন। মাশরাফি বল হাতে তুলে নিয়েই সাফল্য পেয়েছিলেন। কিন্তু কুমিল্লার বুঝি সব বিভাগেই দুর্দশা চলছে। অন্য কোনো বোলার হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেননি প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের সামনে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে।
এর আগে রংপুরের স্লো বোলারদের বিপক্ষে কুমিল্লার ব্যাটিংয়ে জয়ের জন্য তাদের মরীয়া হয়ে থাকার প্রমাণ মেলেনি। শহীদ আফ্রিদি, সোহাগ গাজী, লিয়াম ডসন, আরাফাত সানি, আনোয়ার আলিরা অবশ্য দারুণ বল করেছেন। টানা ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে যাওয়া ইমরুল কায়েস (৫) ও লিটন কুমার দাস (৪) আবার ব্যর্থ। ২১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান আহমেদ শেহজাদ ও মারলন স্যামুয়েল দায়িত্ব নেন।
এই আসরে কুমিল্লার জুটি হচ্ছিল না। সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৩৮ রানের। এবার ৬৪ রানের জুটি শেহজাদ-স্যামুয়েলসের তৃতীয় উইকেটে। কিন্তু ১০.২ ওভারে, ৬.১৫ রান গড়ে। বেশ ধীর।
তবু ভালো দেখতে না দেখতে ভেঙে পড়েনি কুমিল্লা। শেহজাদ ৪৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫২ রান করেছেন। এই বিপিএলে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই ফিফটি করলেন। স্যামুয়েল খেলেছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। আগে একটি ৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এবার ঠিকই ফিফটি পেলেন। ৪৬ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ রান করেছেন।
শেষ ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়েছেন রুবেল। ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান। আনোয়ার ৪ ওভারে ২৮ রানে ১ উইকেট শিকার করেছেন। আফ্রিদি ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়েছেন। আরাফাত সানি ৩ ওভারে দেন ১৯ রান। সোহাগ গাজী ২ ওভারে ৭ রানে নেন ১ উইকেট। লিয়াম ডসনও ২ ওভারে দেন ১১। সব মিলিয়ে রংপুরের বোলিং ছিল দারুণ কৃপণ। ব্যাটসম্যানদের কাজটা বল হাতে সহজ করে রেখেছিলেন তারা। ব্যাটসম্যানরা দাপটের জয় তুলে নিতে ভুল করেননি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন