টাম্পাকো বিস্ফোরণ: গ্রেপ্তার নেই এক মাসেও

গাজীপুরের টঙ্গীর প্যাকেজিং কারখানা টাম্পাকো ফয়লসে আগুনের ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি এক মাসেও। অথচ ১৭ সেপ্টেম্বর নিজেরা মামলা করার পর গাজীপুরের পুলিশ প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছিলেন, কারখানা মালিককে যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।
দুর্ঘটনার পর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক মালিকের গাফিলতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই হুঁশিয়ারির কোনো ফল না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত একাধিক শ্রমিকের স্বজন।
কেবল কারখানা মালিক যে গ্রেপ্তার হননি তা নয়, নিহতদের স্বজন বা আহতরা কোনো ক্ষতিপূরণও পাননি। এই অবস্থায় অনেক পরিবার গ্রামের বাড়ি ফিরে গেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
টাম্পাকোয় নিহত একজনের বাবা তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এতগুলো মানুষ মারা গেলো, শুরুতে কত ভালো ভালো কথা শুনছিলাম, কিন্তু তার তো কোনো ফল দেখছি না। কে জানে মালিক আবার বাইচ্যা যায় কি না।’
ইাম প্রকাশ না করার কারণ জানতে চাইলে এই ব্যক্তি জানান, মালিকপক্ষকে রুষ্ঠ করতে চান না তিনি। কারণ, সে ক্ষেত্রে হয়ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
এই দুর্ঘটনা তদন্তে তিতাসের পক্ষ থেকে গঠন করা কমিটি এরই মধ্যে মালিকপক্ষের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে। কারখানার ভেতর থাকা রাসায়নিক অনিরাপদভাবে রাখার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে গ্যাস বিতরণ সংস্থার কর্মকর্তারা।
ঘটনার পর থেকেই কারখানা মালিক বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেন আত্মগোপনে যান। গত ১০ সেপ্টেম্বর আগুন লাগার পর পর একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেও এরপর থেকে ফোনও বন্ধ রেখেছেন তিনি। দুর্ঘটনার পর কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে একজন কর্মকর্তাকে আসার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। তবে তিনি সেদিন দুর্ঘটনাস্থলে যাননি।
টাম্পাকো বিস্ফোরণে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও এক কর্মীর কোনা হদিস নেই। এই ঘটনার দুই দিন পর কারখানা মালিক সৈয়দ মকবুল হোসেনসহ আট জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছিলেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের। ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী মডেল থানায় মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক অজয় চক্রবর্তী। এই মামলায় কারখানা মালিকসহ আসামি করা হয় ১০ জনকে।
একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সুমন ভক্ত বলেন, ‘জুয়েলের বাবার করা মামলার পর থেকে আসামিদের ধরতে বিভিন্ন অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা আসামিদের লোকেশন জানার চেষ্টা করছি। আশা করি খুব দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারবো।’
পুলিশের পক্ষ থেকে করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন টঙ্গী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মালেক খসরু খান। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দুটি মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে টঙ্গী মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সোনাহর আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এ সম্পর্কে পরে জানানো হবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন