টিকেট পেতে খুলনায় দীর্ঘ লাইন, রাতভর প্রতীক্ষা
আর মাত্র কয়েকঘণ্টা বাকি। বৃহস্পতিবার রাত পেরোলেই শুক্রবার সেই কাঙ্ক্ষিত ক্ষণ। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে গড়াবে ওয়ালটন বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। নিজ শহরে মাশরাফিদের না দেখে কি ঘরে থাকা যায়!
আর এ কারণেই গতকাল বুধবার রাত থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চলছে টিকেট কেনার প্রতিযোগিতা। নগরীর খানজাহান আলী রোডের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) খুলনা শাখায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের সামনে থেকে শুরু করে খানজাহান আলী রোডের ফেরিঘাট মোড় এবং সাহেবের কবরখানা সংলগ্ন রামচন্দ্র দাস লেন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের ভিড়।
সবাই একটাই উদ্দেশ্যে এসেছেন। তা হচ্ছে টিকেট। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত টিকেট পাওয়াটা খুব একটা সহজলভ্য হচ্ছে না। মানুষের প্রচণ্ড চাপে লাইন থেকে ছিটকে পড়তে হচ্ছে বার বার। আবার যেতে হচ্ছে লাইনের পেছনে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকেও খেতে হচ্ছে হিমশিম। মাঝেমধ্যেই চলছে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা। এ পরিস্থিতির মধ্যে যারা টিকেট সংগ্রহ করতে পারছেন, তাঁরাই হাতে পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সোনার হরিণ!
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটর তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র শাহরিয়ার হোসেন, শাহিন আলম ও সৌরভ দাস বলেন, ‘আমরা খুলনার রূপসা থেকে বুধবার রাত ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এরপর রাত ১১টায় প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কির কারণে লাইন থেকে ছিটকে পড়ি। আবার লাইনে দাঁড়িয়ে কিছু সামনে এগোলে রাত ৩টায় এবং একইভাবে সকাল ৯টায় কাউন্টারের কাছাকাছি এসেও ছিটকে পড়ি। টিকেট পাইনি। তাই চলে যাচ্ছি।’
নগরীর খালিশপুর এলাকার স্কুলছাত্র আসলাম, জুয়েল এবং নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রী কাজী জারিন আফরিনসহ কয়েকজন টিকেট হাতে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত। টিকেট হাতে নিয়ে তাঁরা উল্লাস প্রকাশ করেন।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) শাখা প্রধান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি মোট পাঁচ হাজার ৭৬৮টি টিকেট পেয়েছেন। তবে চাহিদার তুলনায় এ পরিমাণ খুবই কম।
সাইফুল ইসলাম আরো জানান, স্ট্যান্ড ১০০ টাকা, ওয়েস্টার্ন ১৫০ টাকা, ক্লাব হাউজ ৩০০ টাকা, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ড ৫০০ টাকা এবং গ্রান্ড স্ট্যান্ড ১০০০ টাকা করে টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম পরির্দশন করার সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শেখ সোহেল বলেন, ‘টিকেটের চাহিদা অনেক, কিন্তু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা মাত্র নয় হাজার। খুব দ্রুতই এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন