খেলা জমিয়ে তুলেও শ্রীলঙ্কার কাছে হারল বাংলাদেশ
শুরুতে ধাক্কা, এরপর সৌম্য-সাব্বিরের পাল্টা আক্রমণ; তারপর আবারও ছন্দপতন। বল হাতে শুরুতে উইকেট নেওয়ায় ব্যর্থতা। তারপর অবসর ঘোষণা দেওয়া অধিনায়ক মাশরাফির জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরা। ম্যাচের শেষ দিকে বলের বিপরীতে রানের লড়াই চলেছে। গোটা ম্যাচে এভাবেই উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার দিয়েই শুরু হলো টাইগারদের। ১৫৬ রানের টার্গেটে ৬ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে গেল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
মাঝারি পুঁজি নিয়ে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকে দিয়ে বোলিং ওপেন করালেন মাশরাফি। কিন্ত সাফল্য আসল না। বল তুলে নিলেন নিজে। আনলেন তাসকিনকে, মুস্তাফিজকে এমনকী সাকিবকেও। কেউ কুশল পেরেরা আর উপল থারাঙ্গার উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারছিলেন না। বিদায়ী অধিনায়ককে দিতে পারছিলেন না স্বস্তি। শেষ পর্যন্ত ম্যাশ নিজেই ভাঙলেন ৬৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। তার বলে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৪ রান করা উপল থারাঙ্গা।
এরপর ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ওভার বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন কুশল পেরেরা। অ্যাশলে গুনারত্নেকে দারুণ এক সরাসরি থ্রো তে রানআউট করে দেন সাব্বির রহমান। টার্গেট থেকে ৯ রান দূরে থাকতে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে যান ৫৩ বলে ৭৭ রান করা পেরেরা। কিন্তু তার আগেই খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ১ ওভার ১ বল হাতে রেখেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন থিসারা পেরেরা।
এর আগে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ল ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই তামিমের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি হারাতে হয়। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেই আঘাত হানেন লঙ্কান গতিদানব লাসিথ মালিঙ্গা। তার বলে বোল্ড হয়ে ০ রানেই ফিরতে হলো দেশসেরা ওপেনারকে। এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গী হন সাব্বির রহমান। শুরু হয় দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং। দুই তরুণ মিলে ভয়ডরহীন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লঙ্কান বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন। রানের চাকা ঘুরতে থাকে দ্রুত। কিন্তু সাব্বির রহমানের বিদায়ে ঘটে ছন্দপতন।
দ্রুত রান নিতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন সাব্বির রহমান (১৬)। ৪ বলের ব্যবধানে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে তিনি ২০ বলে ৩ চার এবং ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন। মুশফিকের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান। এই জুটিতে যখন চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখছিল সবাই তখনই গুনারত্নের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম (৮)। সাকিবও বেশিক্ষণ ভরসা দিতে পারলেন না দলকে। সেকুজে প্রসন্নর বলে ১১ রান করে গুনারত্নের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
তরুণ মোসাদ্দেককে সঙ্গী করে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নিলেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। ৬ষ্ঠ উইকেট দুজনে মিলে গড়েন ৫৭ রানের দারুণ এক জুটি। শেষ পর্যন্ত ৩১ রান করে মালিঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন রিয়াদ। ৩০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে অপরাজিত রইলেন মোসাদ্দেক। ৫ বল খেলার সুযোগ পেয়ে ১ বাউন্ডারিতে মাশরাফি করলেন ৯* রান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন