টেনশন থেকে দূরে থাকার ৭টি কার্যকরী উপায় (মিউজিক ভিডিওসহ)
মানিষক টেনশন মানুষের শরীর মন দুটোতেই বিরুপ প্রভাব ফেলে। মানুষের রোগ-শোক হতাশা দিন দিন যেন বেড়েই চলছে। পারিবারিক নানা সমস্যা, বেকারত্ব, ব্যক্তিগত বিপর্যয় প্রভৃতি কারণে মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে শুরু হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, হৃদরোগের মতো ভয়াবহ অসুখ। মানসিক চাপের জন্য নিয়মিত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবন করেন অনেকে। ওষুধ সেবনের পূর্বে জেনে নিন মানসিক দূরবস্থা কাটিয়ে উঠার কয়েকটি কার্যকরী উপায় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো:
মেডিটেশন:
প্রতিদিন মাত্র ১৫ থেকে ৩০ মিনিট মেডিটেশন করাই যথেষ্ট। এটি সহজ প্রক্রিয়ায় মনকে স্থির রাখার কার্যকর ওষুধ। নিজের চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দিন, নিঃশব্দে কিছুক্ষণ নিঃশ্বাসকে অনুসরণ করুন। এই ক্ষণিক প্রশান্তি আপনাকে দীর্ঘ চাপ থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক হবে। মেডিটেশন এর বই পাওয়া যায় বাজারে। কিনে পড়ুন এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন। মাথায় টেনশর ভর করলে সাথে সাথে ভেবে ভেবে মেডিটেশন করুন। বর্তমানে মেডিটেশন করানোর জন্য এলাকা ভিত্তিক মেডিটেশন স্কুল আছে প্রতিষ্ঠা হতে দেখা যাচ্ছে। সেগুলোতে ভর্তি হয়ে শিখে নিতে পারেন। মেডিটেশন এর অনেক মিউজিক ভিডিও পাওয়া যায়। সেসব ব্যবহার করতে পারেন মেডিটেশন করার জন্য। নীচে মেডিটেশনের মিউজিক ভিডিও আছে শুনে নিন।
ব্যায়াম:
ইয়োগা, হাঁটা বা দৌড়, সাঁতারসহ অন্যান্য ব্যায়ামগুলো শরীর-মন দুটোর জন্যই প্রয়োজনীয়। নিজেকে সময় দেয়ার মধ্য দিয়ে ব্যায়ামও মেডিটেশনের মতো কাজ করে। এটি মস্তিষ্ককে সচল রাখে, যা মন ভালো রাখার জন্য জরুরি। স্থূলতা এবং স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করেও ব্যায়াম মানুষকে চিন্তামুক্ত রাখে। আপনি মানষি টেনশনে আছেন। ঠিক সে সময়ে একটু ব্যায়াম করুন দেখবেন আপনার মনোযোগ টেনশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আপনি আগের চাইতে অনেকটাই রিলাক্স।
সুসংগঠিত জীবন:
আপনি যদি খুব ব্যস্ত মানুষ হন, তবে দিনের সব প্রয়োজনীয় কাজ ঠিকঠাক সম্পন্ন করতে একটি কর্মতালিকা কাগজে টুকে রাখুন। যদি ঘরকুনো হন, তাহলে মাঝে মাঝে বাইরে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করুন। মনের শান্তি এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জীবনকে সুসংগঠিত করা যায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার:
বহু পরীক্ষায় জানা গেছে, বাসি এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার মানুষকে হতাশ করে দিতে পারে। তাই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা মেনে চলুন। ভিটামিন এবং প্রোটিন মনকে প্রফুল্ল রেখে কর্মসম্পাদনের শক্তি যোগায়। ব্লুবেরি, স্যামন মাছ, কাজুবাদাম মানসিক চাপ দূর করে। দিনে এককাপ কফি শরীরকে চাঙ্গা করে, আবার অতিরিক্ত কফিপান হতাশা বাড়িয়ে দেয়।
ইন্টারনেট এবং ফোনের সাথে নিরাপদ দূরত্ব:
বর্তমান সময়ে মানসিক সমস্যার একটি বড় কারণ হলো- আমরা কিছুতেই ইন্টারনেট এবং ফোনের অধিক ব্যবহার এড়াতে পারছি না। ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকা এবং ফোন বন্ধ রাখার মাধ্যমে কিছু সময় অন্তত দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী মাধ্যম থেকে দূরে থাকা যায়। ঘুমানোর পূর্বে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র থেকেও দূরে থাকা প্রয়োজন। এতে করে নিদ্রাহীনতার সমস্যা দূর হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম:
দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য ঘুম সবচেয়ে উপকারী। সামান্য ঘুম মাথাব্যথা ও বিরক্তির জন্ম দেয়। আবার অতিরিক্ত ঘুম আলস্য এবং হতাশার সৃষ্টি করে। সুস্থ একটি দিন শুরু করতে পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় গেলে, ঘুমানোর আগে শর্করাজাতীয় খাবার, যেমন- কলা, চিনাবাদাম, ডুমুর এবং দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলে ভালো ঘুম হয়। ঘুমের আগে ভারি খাবার থেকে বিরত থাকুন। এতে করে বদহজম, বুকে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
মিউজিক:
এক এক মানুষ এক এক ধরনের সংগীত, মিউজিক পছন্দ করে থাকেন। মানষিক টেনশন থাকলে। নিরিবিলি পরিবেশ তৈরী করুন। নিজে একা একা প্রিয় সংগীত, গান শুনুন। ভিডিও, ছবি দেখে সময় কাটাতে পারেন কিছুক্ষন।
https://youtu.be/Uiy1rZ8F24Q
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন