টেনিস খেলায় বাড়ে আয়ু
আপনি যদি দীর্ঘ জীবন চান তাহলে র্যাকেট স্পোর্টস আপনাকে সাহায্য করতে পারে বলে জানিয়েছে নতুন একটি গবেষণা। গবেষকেরা তাদের ১৫ বছরের গবেষণায় দেখেছেন যে, যারা ব্যাডমিন্টন, স্কোয়াশ ও টেনিসের মত র্যাকেট স্পোর্টসগুলো খেলেন তাদের এ সময়ের মাঝে যেকোন কারণে মৃত্যুবরণ করার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ এবং হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৫৬ শতাংশ কমে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং গবেষণার জ্যেষ্ঠ লেখক এমানুয়েল স্ট্যামাটাকিস বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় এটাই নির্দেশ করে যে কতক্ষণ এবং কত ঘন ঘন ব্যায়াম করছেন শুধু তাই নয়, বরং কী ধরণের ব্যায়াম আপনি করছেন সেটাই পার্থক্য সৃষ্টি করে’।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউজ রিলিজে বলেন, নির্দিষ্ট খেলায় অংশগ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। চমকপ্রদ প্রমাণের সাথে এই পর্যবেক্ষণ সমর্থন করে যে, স্পোর্টস কমিউনিটি এবং অন্য সেক্টরগুলো যদি একসাথে কাজ করে ব্যায়ামের প্রোগ্রাম তৈরি করে তাহলে তা সাধারণ শারীরিক সক্রিয়তা এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করবে।
ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের ৩০ বছরের বেশি বয়সের (যাদের গড় বয়স ৫২) ৮০,০০০ পূর্ণবয়স্ক মানুষের উপাত্ত নিয়ে বিশ্লেষণ করেন গবেষকেরা। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয় ১৯৯৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত।
নির্দিষ্ট খেলা এবং দীর্ঘায়ুর মধ্যে যোগসূত্র আছে বলে আশা করছেন গবেষকেরা। যদিও এই গবেষণায় কারণ ও প্রভাব প্রমাণ করতে পারেননি।
র্যাকেট স্পোর্টস এর উপকারিতা অনুসন্ধানের সময় তারা দেখেন যে, সাঁতার ও অ্যারোবিক ব্যায়াম যেকোন কারণে অকাল মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমায়। সাইকেল যারা চালান তাদের অকাল মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশ কমে।
গবেষণায় জানা যায় যে, যারা সাঁতার কাটেন তাদের হৃদরোগে মৃত্যুর হার ৪১ শতাংশ কমে। যারা অ্যারোবিক ব্যায়াম করেন তাদের এই ঝুঁকি ৩৬ শতাংশ কমে।
এই গবেষণাটি ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বরে।
দ্যা আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের মতে, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট সক্রিয় থাকা উচিৎ। এটা মনে রাখার সহজ উপায় হচ্ছে সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে সক্রিয় থাকা। নিয়মিত শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে টেনশন, উদ্বিগ্নতা, বিষণ্ণতা এবং রাগ কমে। অনেকক্ষণ বসে থাকলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে বয়স্কদের মধ্যে যারা দিনে ৪ ঘন্টা টিভি দেখেন তাদের যেকোন ভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ এবং কার্ডিওভাস্কুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
সক্রিয় থাকলে রক্তচাপ কমে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত শারীরিক সক্রিয়তার অভাবে শরীর আস্তে আস্তে ভালোভাবে কাজ করার শক্তি ও সামর্থ্য হারায়। যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখে তারা ৭ বছর বেশি বাঁচেন যারা সক্রিয় থাকেন না বা স্থূলকায় তাদের তুলনায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন