টেন্ডুলকারের চেয়েও জনপ্রিয় হবে ডি ভিলিয়ার্স
ব্যাট হাতে যতটা ভয়ংকর, মাঠের বাইরে ততটাই বিনয়ী। এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে মুগ্ধ খোদ ভারতীয় কট্টর সমর্থকেরাও গত ওয়ানডে সিরিজে গ্যালারিতে তাঁর নামে স্লোগান দিয়েছে। এবির জনপ্রিয়তার পারদ এখন এতটাই তুঙ্গে, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ডি ভিলিয়ার্স—ফ্যানি বলছেন, জনপ্রিয়তায় টেন্ডুলকারকেও ছাড়িয়ে যাবেন এই এবি।
সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজেই দেখা গেল সেই অদ্ভুত দৃশ্য। মাঠে ভারতীয় বোলাররা মার খাচ্ছে ডি ভিলিয়ার্সের কাছে আর গ্যালারি তালিতে ফেটে পড়ছে! ভারতের দর্শকদের এমন আচরণ যে অবিশ্বাস্য। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই মাঠে বোতল ছুড়ে খেলা থামিয়ে দেওয়ার ঘটনা দেখতে হয়েছে সবাইকে। সেই তাঁরাই কি না ডি ভিলিয়ার্সকে এভাবে সমর্থন জানাচ্ছেন!
ভারতের মাটিতে এ যে অসম্ভব! তাঁর পূর্বসূরি ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স এতে মোটেও অবাক হননি, ‘ভারতীয়দের এবিকে এভাবে সমর্থন দেওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এবি ওই ধরনেরই ক্রিকেটার।’
এর পরই ফ্যানি ভবিষ্যদ্বাণী, ‘এবি একদিন শচীন টেন্ডুলকারের চেয়েও জনপ্রিয় হবে। আমরা এমন একজনের ব্যাপারে কথা বলছি যার ওই ক্ষমতা আছে।
আমরা যার ব্যাপারে বলছি যাকে সবাই ভালোবাসে, যার বিজ্ঞাপন মূল্য আছে, যাকে আপনি কেবল শচীনের কাতারেই রাখতে পারেন। ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে যখন আপনাকে শচীনের কাতারে রাখা যায়, তখন বুঝবেন আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। টেন্ডুলকারের সঙ্গে তাঁর রেকর্ড তুলনা করুন, দেখবেন সে ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের চেয়ে ভালো। সাড়া বিশ্বে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ও সে শচীনের সমান।’
শুধু খেলোয়াড়ি দক্ষতা নয়, মানুষ হিসেবেও টেন্ডুলকারের সঙ্গে ডি ভিলিয়ার্সকে এক কাতারে রাখলেন তিনি। কেবল খেলোয়াড় হিসেবে নয় মানুষ হিসেবেও যে ডি ভিলিয়ার্স একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব সে কথাটিই প্রকাশ পেল ফ্যানির কথায়, ‘সে অনেক দিক দিয়েই টেন্ডুলকারের মতো। সে ট্যাটু আঁকায় না, সে খুব চাকচিক্য পছন্দ করে না।
সে উগ্র সাজসজ্জা নিয়ে মাথা ঘামায় না। এতেই তো চরিত্রের দিকটা বোঝা যায়। যখনই আপনি ওসব জিনিসে আগ্রহ দেখাবেন, আপনার চারিত্রিক পতন শুরু হবে। এবি এসব করে না, শচীনও এসব করত না। পিট সাম্প্রাস কিংবা রজার ফেদেরারও এসব করে না। শীর্ষ মানের একজন খেলোয়াড়ের এসব দরকারও হয় না।’
সাবেক ডি ভিলিয়ার্স যে বর্তমান ডি ভিলিয়ার্সের মহা ভক্ত তা তো তাঁর কথাতেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু টেন্ডুলকারের চেয়েও জনপ্রিয় হবেন কি না ডি ভিলিয়ার্স, সেটি এখনো দেখার বিষয়। তবে টেন্ডুলকারের দেশেই প্রতিপক্ষের দর্শকের কাছ থেকে যে পরিমাণ সমর্থন পাচ্ছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান, কথাটি সত্য হলেও হয়ে যেতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন