টেস্ট ক্রিকেটে ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে যা বললেন মুশফিক

‘যতো বেশ টেস্ট খেলবে, ততো বেশি ভালো করার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের’ টেস্ট ক্রিকেটে ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে এসব বলেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
২০০০ সালে আজকের এই দিনেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক বাংলাদেশের। ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল নিজেদের প্রথম টেস্ট। সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে সেদিন টস করতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছিলেন আমিনুল ইসলাম। বাংলাদেশ করেছিল ৪০০ রান।
মুশফিক বলেন, ‘গত ১০/১৫ বছর বাংলাদেশ তেমন বেশি টেস্ট খেলেনি যে কারণে দক্ষতা সম্পন্ন যেসব খেলোয়াড় আছে, তাদের পারফর্ম করার সুযোগ নেই। যেমন: আমাদের মুমিনুল, ও কিন্তু শুধু এই একটা ফরমেটেই খেলে। এটা অনেক কঠিন। প্রায় এক/দেড় বছর পর এমন করে এসে টেস্ট খেলা তার জন্য অনেক কঠিন।’
টেস্টে ১৬ বছর কেমন ছিল? আর আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জটা কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘আমি যেটা মনে করি যে বাংলাদেশ টিম অবশ্যই আরও ভাল অবস্থায় থাকতে পারতো। আপনি যদি এক/দুই বছর পরপর একটা করে টেস্ট খেলেন এটা খুবই কঠিন। সর্বশেষ সিরিজটাতে আমরা যে পারফরম্যান্স করেছি আশা করব যে ভবিষ্যতে অন্তত টেস্ট ম্যাচ কিছুটা বেশি খেলা হবে। খেলাগুলোতে যদি আমরা ভাল পারফরম্যান্স করতে পারি বাংলাদেশ টিম আরও এগিয়ে যাবে।’
“আগের থেকে আমার মনে হয় একটাই পার্থক্য যে বাংলাদেশ দলে এখন পারফর্মারের সংখ্যা অনেক বেশি। যেটা আপনারা টেস্টেও দেখেছেন, অনেকে পারফর্ম করেছে। এটা একটা ভাল সাইন। আমরা যদি নিয়মিত টেস্ট খেলি আশা করছি দুই বছরের মধ্যে একটা ভাল অবস্থানে যেতে পারব।”
এই ১৬ বছরে ২০১৭ সালটাই কি আপনি মনে করেন মাইলস্টোন সেট করার সুযোগ? এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘আমি বলব দলগতভাবে আমাদের শুরুটা অন্তত ভাল হয়েছে। ২০১৭ সালটা অবশ্যই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ আর কোন বছরে আমরা হয়তো ৯/১০টা টেস্ট খেলিনি। এটাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা আশা করব এই চ্যালেঞ্জটা নিতে। আমাদের আসলে এখনও প্রমাণ করার অনেক কিছু বাকি আছে যে আমরা বাইরে গিয়ে কি রকম খেলি। এজন্য আমাদেরকে, মানে অন্তত ব্যাটসম্যানদের অনেক দায়িত্ব নিতে হবে। আশা করব যে নিউজিল্যান্ড ট্যুর থেকেই আমরা যেন সেটা শুরু করতে পারি।’
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এই ১৬ বছর পর টিমটাকে দেখে আপনার সন্তুষ্টির জায়গা কোথায়- এ বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই আমি অধিনায়কত্ব করছি। আমার সন্তুষ্টির জায়গা বলতে আমি বলব যে আমাদের দলে এখন পারফর্মারের সংখ্যা অনেক বেশি। এটা যেকোন অধিনায়কের জন্যই অনেক বড় পাওয়া। কারণ, আপনার দলে যখন ৫/৬ জন বোলার থাকবে আবার ৭/৮ জন ব্যাটসম্যান থাকবে সেটা অনেক বড় পাওয়া। সেক্ষেত্রে বলব যে আমি অনেক ভাগ্যবান আল্লাহর রহমতে এখন অনেক ভাল পারফর্মার আছে। দলে শুধু পারফর্মার থাকলে হবে না, তাদের পারফরম্যান্স করতে হবে। আশা করছি যে এতদিন তারা যেমন করেছে অন্তত আগামী বছরেও সেটা করতে পারি আমরা টেস্টে ভাল করব। আগামী বছর টেস্টগুলোতে ভাল করতে পারলে সেটা বিশ্বব্যাপিই অনেক নাম হয়ে যাবে। আশা করব এই ফোকাসটাই যেন সবার থাকে।’
সম্প্রতি শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্টে বাংলাদেশর বোলাররা ৪০ উইকেট নিয়েছিলেন। বিদেশের মাটিতে তাদের এই সামর্থ্য আছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘ক্যাপাবল তো অবশ্যই। এই বিশ্বাসটাতো অবশ্যই থাকতে হবে। বরং আমি মনে করি যে নিউজিল্যান্ডে যত সিমিং কন্ডিশনই হোক আমাদের সিম বোলার অনেক ভাল আছে।’
“২০১৫ বিশ্বকাপেও দেখেন আমাদের সিম বোলাররা অনেক ভাল বোলিং করেছে অন্য দলগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে। আমি বলব যে সিমিং কন্ডিশন হলেও আমাদের অনেক ভাল সিমার আছে যারা কিনা ২০ উইকেট নেয়ার মতো।”
আশা করছি যারাই সুস্থ আছে এবং যারা ইনজুরি থেকে ফিরবে, মুস্তাফিজও আসবে তারা যদি নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা করতে পারে তাহলে টেস্টের ২০ উইকেট নেয়ার সক্ষমতা আমাদের অবশ্যই আছে। কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে ব্যাটসম্যানদের, বোর্ডে রান দিতে হবে। সেটাই মূল চেষ্টা থাকবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতিবিস্তারিত পড়ুন