টেস্ট সিরিজ খেলার আশা ছাড়েননি শফিউল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বল হাতে দারুণ ছন্দ ফিরে পাওয়ায় হয়তো নিউজিল্যান্ড সফরের পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করে দিয়েছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। কিন্তু এমন সময় ইনজুরির হানা। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে শুধু বিপিএলই নয়, নিউজিল্যান্ড সফরও শেষ হয়ে গেছে ডানহাতি এই পেসারের। তার জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে।
তবে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে দলে ভেড়ানোর দিনই জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছিলেন, এখনই সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। ফিট হয়ে উঠলে অন্তত টেস্টে সিরিজে শফিউলকে দেখা যেতে পারে। এর পর থেকেই আলোচনায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শফিউলের টেস্ট সিরিজ খেলা নিয়ে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা শফিউলও এমন আশাতে আছেন।
টেস্ট সিরিজে খেলার আশা দেখছেন কি না? এমন পশ্নের জবাবে বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়া শফিউল বলেন, ‘আশা তো সব কিছুর জন্যই ছিলো। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, টেস্ট সবগুলোতেই খেলার আশা ছিলো। হয়তো কপালে নেই বলে হচ্ছে না। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে যদি ডাকে আমি চেষ্টা করবো। তার আগে আমাকে ফিট হতে হবে। ফিট হওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
ইনজুরির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে শফিউল বলছেন, ‘পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছি তিন-চারদিন হয়েছে, উন্নতি হচ্ছে। সম্ভবত সামনের সপ্তাহ থেকে ৫০ ভাগ জোরের সঙ্গে বোলিং শুরু করবো। বোলিং শুরু করার পর বোঝা যাবে কবে থেকে শতভাগ জোর দিয়ে বোলিং করতে পারবো বা বোলিং করার সময় ব্যথা হয় কি না। রানিংয়ের সময় ব্যথা হয় না। সাধারণত রানিংয়ের সময় ব্যথা বোঝাও যায় না। রানিংয়ের কিছু টেস্ট আছে যেগুলো দেখলে বোঝা যাবে।’
টেস্টে সিরিজে শফিউলের ফেরা নিয়ে আলোচনা হলেও এই ফরম্যাটে বেশি ম্যাচ খেলেননি ডানহাতি এই পেসার। ২০১০ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষেকের পর মাত্র ৯টি টেস্ট খেলেছেন শফিউল। বাকি দুই ফরম্যাটেই তাকে বেশি দেখা গেছে। খেলেছেন ৫৬টি ওয়ানডে ও ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে সুযোগ এলে কী পরিকল্পনা থাকবে? শফিউল বলছেন বিপিএলের ছন্দ নিয়েই শুরু করতে চান তিনি, ‘আমি ওখানে (নিউজিল্যান্ডে) খেলেছি। একটু হলেও জানি ওখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে। কন্ডিশন যেমনই হোক ভালো করাটা নিজের ওপর নির্ভর করে। উইকেটে সাহায্য থাকার পরও যদি আমি এদিক-সেদিক বল করি তাহলে হবে না। লাইন-লেন্থ নিজের কাছেই। বিপিএলে যে ছন্দ পেয়েছিলাম সেটা নিয়েই ফিরতে চাই।’
দারুণ ফর্মে থাকার পরও এই সার্ভিসটা বাংলাদেশ দলকে দিতে পারছেন না শফিউল। এটাকে হাতাশারই বলছেন বাংলাদেশ পেসার, ‘অবশ্যই হতাশার। শেষ মুহূর্তে এসে এভাবে ছিটকে যাওয়াটা খারাপ লাগার মতোই ব্যাপার। খুবই মিস করছি। সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছিলো আসার। একটা সুন্দর ছন্দে এসেছিলাম। তবে যেটা গেছে ওটা নিয়ে আর ভাবতে চাই না। যখন্ ফিরি এভাবেই যেন ফিরতে পারি সেই চেষ্টা থাকবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন