ট্রাম্পের ফোনে আড়িপাতার খবর ‘সম্পূর্ণ ভুয়া’: ওবামার মুখপাত্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মুখপাত্র। উল্লেখ্য, গতকাল ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় হঠাৎই অভিযোগ করে বসেন যে, ওবামা নির্বাচনকালীন তার ফোনে আড়ি পেতেছিল, যা কিনা নিক্সনের ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির সমতুল্য।
ওবামার মুখপাত্র কেভিণ লুইসের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন জানায়, ‘শুধু প্রেসিডেন্ট ওবামা নয়, হোয়াইট হাউজের কোন কর্মকর্তাই কখনো মার্কিন কোন নাগরিকের ফোনে আড়িপাতার নির্দেশ দেননি।’
এদিকে স্থানীয় সময় শনিবার প্রথম প্রহরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কয়েকটি টুইট বার্তায় বলেন, ‘ভয়ংকর ব্যাপার! এই মাত্র জানতে পারলাম আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার এক মাস আগে ট্রাম্প টাওয়ারের ফোনে আড়ি পেতেছিলেন ওবামা। তবে কিছুই পাননি। এটি ম্যাকার্থিজম। কতটা নিচে নেমে প্রেসিডেন্ট ওবামা খুবই শুদ্ধ একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আমার ফোনে আড়িপাতার মত কাজ করলেন। এটা নিক্সন/ওয়াটারগেটে মত।’
এর আগে ট্রাম্প ফোনে আড়িপাতার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে। ট্রাম্প অবশ্য এ দাবির পক্ষে বিস্তারিত কোনো প্রমাণ দেননি। তাছাড়া তিনি আদালতের যে আদেশের কথা উল্লেখ করেছেন তার নামও বলেননি।
বিবৃতিতে লুইস আরো বলেন, ‘ওবামা প্রশাসনের উদার নীতির কারণে আদালতের কোন রায়ে কখনোই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ করেননি।’
এর আগে ওবামার পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা বেন রোডস বলেন, ‘কখনোই প্রেসিডেন্ট আড়িপাতার নির্দেশ দেননি।’
ট্রাম্প টুইটে আরও বলেন, ‘আমি বাজি ধরে বলতে পারি, একজন ভালো আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে চমৎকার একটি মামলা সাজাতে পারবেন এবং অক্টোবরে নির্বাচনের ঠিক আগে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার আমার ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি জনসম্মুখে নিয়ে আসতে পারবেন।’
ট্রাম্প এ ঘটনাটিকে ১৯৭২ সালের মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ভয়াবহ ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির সঙ্গে তুলনা করেছেন। ১৯৭২ সালের ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বহুল আলোচিত একটি ঘটনা। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট নিক্সন তখন দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার নির্বাচন কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির খবরাখবর পেতে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত দলটির সদর দপ্তরে গোপনে টেপ রেকর্ডার স্থাপন করেছিলেন। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন এবং একজনকে বরখাস্ত করা হয়। ওই কেলেঙ্কারির জেরে নিক্সনও ১৯৭৪ সালে পদত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত তিনিই একমাত্র পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন