ট্রাম্পের ২০০ দিনের পরিকল্পনা
জনমত জরিপে পিছিয়ে ছিলেন। সমালোচিত ছিলেন বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন রিপাবলিকার ডোনাল্ড ট্রাম্পই। আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। কী হবে তাঁর প্রথম ২০০ দিনের কাজ?
ট্রাম্পের পরামর্শক, উপদেষ্টারা বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি এ ধরনের একটি কর্মপরিকল্পনা তাদের কাছে এসেছে। আর ২০০ দিনের উল্লেখযোগ্য কাজের তালিকায় থাকছে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিগুলোই। যার মধ্যে শীর্ষে আছে নাফটা নিয়ে ট্রাম্পের নাকউঁচুভাবও।
আগে যুক্তরাষ্ট্র, অন্যরা নয়
নির্বাচনে প্রচারের সময় ট্রাম্প মানুষের কাছে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা অবশ্যই পূরণ করা হবে। পরিকল্পনার কাগজে তাই লেখা। এসব প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্যই কাজ করবে ট্রাম্প প্রশাসন। আর ওই শক্তি, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়েই দল গঠন করবেন ট্রাম্প।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি নিয়েই কাজ শুরু করবে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন চুক্তি হবে অন্য দেশের সঙ্গে তবে এতে প্রাধান্য পাবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো। যাই হবে তা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে।
পাঁচটি ইস্যু
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম ২০০ দিনের পরিকল্পনা করা হয়েছে পাঁচটি ইস্যুকে ঘিরে। এগুলো হচ্ছে, উত্তর আমেরিকান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (নাফটা) থাকা বা না থাকা, ট্রান্স-প্যাসিফিক অংশীদারত্বের চুক্তি, ‘অনৈতিক আমদানি’ বন্ধ করা, ‘অনৈতিক বাণিজ্য’ বন্ধ করা এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির দিকে জোর দেওয়া। সঙ্গে আরো একটা বিষয় আছে সেটা কর্মসংস্থান বিষয়ক। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের প্রাধান্য পাবে। আর এ ক্ষেত্রে আলোচিত হবে ব্যবসা সংক্রান্ত কর কমানো, ব্যবসায় শর্ত কমানো এবং অভ্যন্তরীণ শক্তিসম্পদে নিয়ন্ত্রণ রাখা।
নাফটা নিয়ে নতুন চিন্তা
নাফটার বিরোধিতা ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারের সময়ই করেছেন। মেক্সিকো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এ তিনটি দেশ নব্বইয়ের দশকে মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত এ চুক্তি করে। ১৯৯৪ সাল থেকে এ চুক্তির কার্যকারিতা শুরু হয়ে। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এ চুক্তি তিনি বাতিল করবেন। এতে করে তিন দেশের মধ্যে পণ্যসহ অনেক সেবার আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নাফটাতে সংস্কার আনবেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে অন্য দুই দেশকে প্রস্তাব দেবে চুক্তিতে সংশোধনী আনার। অর্থ সংক্রান্ত বিষয়, পরিবেশ, নিরাপত্তা মানসহ বিভিন্ন বিষয় এতে প্রাধান্য পেতে পারে।
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্য দুই দেশের সঙ্গে ‘ক্ষতিকর’ কিছু হয় কি না, সেদিকে লক্ষ রাখবে ট্রাম্প প্রশাসন। বানিজ্যের কারণে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নজর রাখার নির্দেশ আসতে পারে প্রশাসনের কাছ থেকে। আন্তর্জাতিক করপোরেট আদান-প্রদানের বিষয়ের ক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ আসতে পারে।
ভরসা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
নাফটা থেকে সরে গেলে সুবিধা অসুবিধা কী হবে? ট্রাম্পের কাছে যুক্তি আছে। কথা হচ্ছে তাহলে পরে হবেটা কী? জানা যায়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকে ঝুঁকবেন ট্রাম্প। আর এ ব্যাপারে কংগ্রেসও এগিয়ে আসবে প্রেসিডেন্টকে সাহায্য করার জন্য। এখন প্রেসিডেন্ট খুব সহজে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস এ সুবিধা দিয়ে রেখেছে। সেটা হয়তো বেড়ে ২০২১ পর্যন্ত যাবে।
নাফটা থেকে সরে আসার ব্যাপারে অনেক প্রতিবন্ধকতাও আছে। তবে তা সরিয়ে ফেলা যাবে যদি মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যায়।
একই সঙ্গে চীনের প্রতি নজর থাকবে ট্রাম্প প্রশাসনের। বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ব্যাপারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন