ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি জন্য শনিবার ছিল শেষ দিন ছিল। এ দিনে পাওয়া বিক্রি করা হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর যাওয়ার টিকিট। শেষ দিনেও টিকিটের জন্য কাউন্টারগুলোর সামনে ছিল যাত্রীদের বাঁধভাঙা স্রোত। ভোরবেলা থেকেই এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। শনিবার সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের টিকিট কেটে মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ভোগ তো হয়। তারপরও কিছুই করার নেই। সবাই বাড়ি যেতে স্টেশনে ভিড় করেছে। তবে কাউন্টারগুলো থেকে যদি দ্রুত টিকিট দিতে পারত তাহলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না। প্রতিটি ট্রেনের ২৫ শতাংশ টিকিট সেলফোন ও অনলাইনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ভিআইপি কোটায় ৫ শতাংশ, রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ ও বিশেষ কোটায় ১০-১৫ শতাংশ টিকিট রাখা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের টিকিট কাটতে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাজের চাপের জন্য এ কয়দিন টিকিট কিনতে আসতেই পারিনি। ঢাকা শুধু আমি আর আমার স্ত্রী থাকি। বাকি সবাই থাকেন গ্রামের বাড়িতে। আজ (শনিবার) না আসলে টিকিট কেনা হতো না। তাই অফিস থেকে আধাবেলা ছুটি নিয়ে টিকিট কিনতে এসেছি। যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলওয়ে অতিরিক্ত ১৩৮টি যাত্রীবাহী কোচ বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজন করা হবে। এ ছাড়া ঈদের সময় ২৫টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন সরবরাহ করা হবে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের কোনো সাপ্তাহিক বিরতি থাকবে না।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান জানান, ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ও তদারকিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট কালোবাজারি রোধে জিআরপি, আরএনবি, পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। প্রত্যেক যাত্রী চারটি টিকিট কিনতে পারবেন এবং বিক্রি হওয়া টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।
ঈদ উপলক্ষে এবার থাকছে পাঁচ বিশেষ ট্রেন সার্ভিস। সেগুলো হল— ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে দুটি চাঁদপুর স্পেশাল, পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে পার্বতীপুর স্পেশাল এবং খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পেশাল ট্রেন। এ ছাড়া ঈদের দিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস রাখা হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া যাওয়ার জন্য।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো কষ্টকর, কিন্তু যারা থাকবেন তারা শেষ দিন টিকিট পাবেন। যাত্রীদের প্রত্যাশানুযায়ী যাতে টিকিট সরবরাহ করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন