ডাক্তাররা কি ঈদ করবে না?
মন্ত্রী সচিবসহ আমলাদের ওপর চটেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাসপাতালের বর্হিবিভাগ খোলা রাখার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্টবাজি এবং এর কোন মানে হয়না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শনিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে ঈদ উপলক্ষে হাসপাতালের বর্হিবিভগ খোলা রাখা নিয়ে প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে জানতে পেরেছি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের এধরনের স্ট্যান্টবাজির কোন মানে হয়না । বর্তমানে চিকিৎসকদের উপর প্রশাসনের খড়গ হস্ত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চিকিৎসক কোন মনুষ্য জাতি বলে তারা মনে করছে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঈদের আগের দুই দিন ও ঈদের দিন ব্যতিত পরের একদিন জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে দেশের সরকারি হাসপাতালে সীমিত পরিসরে খোলা রাখা এবং বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্থানে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ডাক্তার, নার্স, সু-সজ্জিত অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল টিম নিয়োজিতকরণসহ প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সকল পরিচালক/তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার নির্দেশনা জারি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক জানান, অফিসে যথাসময়ে উপস্থিতি ও চিকিৎসা প্রদানসহ নানা ইস্যুতে জারিকৃত নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আমলাদের মধ্যে ‘ঠাণ্ডা লড়াই’ চলছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে কর্মরত চিকিৎসক কর্মকর্তাদের অনেকে যথা সময়ে হাসপাতালে আসেন না, আবার আসলেও চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনিহা প্রকাশ করেন। যা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর গোচরিভূত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ম্যানেজ করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। ঈদের ছুটির তৃতীয় দিন বর্হিবিভাগ খোলা রাখার নিয়ম বিগত বহুবছর যাবত চলে আসছে। এক্ষেত্রে রীতিমতো প্রজ্ঞাপন জারি চিকিৎসকদের হাসপাতালে রাখার নির্দেশনা মোটেই কাম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, যেখানে সরকার আগে পরে ছুটি সমন্বয় করে সকলকে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে ঈদ করার সুযোগ দিচ্ছে সেখানে চিকিৎসকদের জন্য রীতিমতো প্রজ্ঞাপন জারি করা চিকিৎসকদের হেয় করার সামিল। তবে ডা. আর্সলান জানান, চিকিৎসকদের যথাসময়ে উপস্থিতির প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে তার কোন অভিযোগ নেই বলে জানান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন