ডাক্তার কর্তৃক গৃহবধূর স্তন কর্তন, তাও আবার বাংলাদেশে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভুল চিকিৎসায় এক গৃহবধুর স্তন কেটে ফেলার অভিযোগে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালের সাবেক আরএমও ও বর্তমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের ডাক্তার মো: শরিফুল ইসলাম শরীফকে ২০ মে শুক্রবার গ্রেফতার করছে শেরপুরের ডিবি পুলিশ।
পুলিশ ভোক্তভূগী পরিবারের পক্ষথেকে জানাযায়, স্তনের ফোড়াকে টিউমার বলে ভয় দেখিয়ে শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের ভূতনীকান্দা গ্রামের দুই সন্তানের জননী গৃহবধুর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে স্তন কেটে ফেলেন চিকিৎসক ডাঃ শরীফুল ইসলাম শরীফ। ওই চিকিৎসক শ্রীবরদী উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামের মৃত কছর আলীর ছেলে।
গত নভেম্বর মাসে শ্রীবরদী শহরের শান ক্লিনিকে চিকিৎসক শরীফকে স্তনের ফোড়া দেখাতে যান ওই গৃহবধু। এসময় চিকিৎসক তার স্তনে টিউমার হয়েছে বলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে ময়মনসিংহের সেহরা এলাকার কুন্ডু প্যাথলজিতে পাঠান। সেখানে পরীক্ষায় ফোড়াকে টিউমার চিহ্নিত করে তাতে ক্যানসার রয়েছে বলে রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
চিকিৎসক শরীফ ১১ নভেম্বর রোগীর স্বামী সোলায়মান মিয়ার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকার উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকার আইচ ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেখান থেকে গৃহবধুকে শাহবাগের মডিউল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ১৫ নভেম্বর তার বাম স্তন কেটে ফেলেন। ও সময় গৃহবধুর স্বামীর কাছ থেকে আরও ৩৫ হাজার টাকা নেয়া হয় বলে গৃহবধুর স্বামী দাবী করেন।
পরে প্রথমে ধানমন্ডির আনোয়ারা মেডিকেল সার্ভিসেস ও ঢাকা মেডিকেলে বায়োপসি করানো হলে উভয় রিপোর্টেই স্তনে কোনো ক্যান্সার নাই বলে জানা যায়। গতবছর ২৯ ডিসেম্বর শেরপুর সিআর আমলি আদালতে দুই চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারী বিভাগে কর্মরত ডাঃ শরীফুল ইসলাম শরীফ ও ময়মনসিংহের কুন্ডু প্যাথলজির মালিক অধ্যাপক ডাঃ কে. কে. কুন্ডুকে আসামী করে একটি নালিশি মামলা করেন গৃহবধুর স্বামী সোলায়মান। আদালত মামলাটি সরাসরি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহন করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শ্রীবরদী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পরে মামলাটি আদেশের ৫ দিন পর ৩ জানুয়ারী রেকর্ড করা হয়।
এর পর থেকে প্রকাশ্যে ডা: শরিফ ঘুরে বেড়ালেও এবং চিকিৎসা কার্যক্রম চালালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছিলনা। এরপর থেকে বিষয়টি শেরপুরের বিভিন্ন মহলের নজরে আসে এবং দায়ী ডাক্তারকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ডা: শরীফকে শেরপুরের বাসা থেকে গেফতার করে ডিবি অফিসে রাখেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য চাইলে কোন কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি গ্রেফতারকৃত ডাক্তারের ছবিও তোলা নিষেধ করা হয় সাংবাদিকদের।
তবে এখনও ময়মনসিংহের কুন্ডু প্যাথলজির মালিক অধ্যাপক ডাঃ কে. কে. কুন্ডুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন