ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পেলেই অভিযোগপত্র

রামপুরার দুই শিশু হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের দাবি করছে পুলিশ। তবে ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন না পাওয়াসহ বেশ কিছু কারণে আদালতে প্রতিবেদন দিতে পারছেন না তদন্ত কর্মকর্তা।
পুলিশ বলছে, শিশু দুটির মা মাহফুজা মালেক জেসমিন হতাশা থেকেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তার দুই সন্তানকে। এ বিষয়ে তিনি র্যাব, পুলিশ ও আদালতে একই ধরনের কথা বলেছেন।
যদি সব রহস্য উদঘাটনই হয় তাহলে অভিযোগপত্র দেয়া যাচ্ছে না কেন- জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, রামপুরা থানায় মামলা হওয়ার পরে পুলিশ কিছু নমুনার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির পরীক্ষাগারে পাঠায়। পরে তদন্তের দায়িত্ব গোয়েন্দা পুলিশকে দেওয়া হলে তারাও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কিছু নমুনা সিআইডির পরীক্ষাগারে পাঠায়। তবে পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো হাতে পায়নি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক লোকমান হেকিম।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (খিলগাঁও জোন) ইকবাল হোছাইন বলেন, ‘মামলার তদন্ত প্রায় শেষ। দ্রুত অভিযোগপত্র দেয়া হবে। তবে কিছু কিছু বিষয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে’।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে দুই শিশু ১৪ বছরের নুসরাত আমান অরণী ও তার ছয় বছরের ভাই আলভী আমানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। প্রথমে খাবারে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরে শিশু দুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার তথ্য জানা যায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। আর এরপর শিশু দুটির মা মাহফুজা মালেক জেসমিনকে আটক করে র্যাব। ওই সন্ধ্যাতেই তাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন শিশু দুটির বাবা আমান উল্লাহ আমান।
নিহত অরণী তার ভাই আলভী হত্যার পরেই রামপুরা থানার পুলিশ কিছু আলামত উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠায় সিআইডির ল্যাবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ওই ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়া যায়নি। তবে সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে কোন ডিএনএ পরীক্ষা করতে সময় লাগে তিন থেকে চার মাস অনেক সময় চার/পাঁচ মাসও লেগে যায়। তবে যেহেতু শিশুটির মা নিজেই এ হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার করেছে সেক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা কেন করা লাগবে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষ পুলিশ সুপার নাছিমা আক্তার বলেন, আদালতে অকাট্ট প্রমাণ দেয়ার দরকার হয়। মামলার শুনানির সময় বক্তব্যের পক্ষে দালিলিক প্রমাণের প্রয়োজন দেখা দেয়। সে কাজটি করার জন্যই এসব পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে হয়। আর সে কাজটিই করা হচ্ছে।
অরণী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণি এবং তার ভাই আলভী হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জেসমিন জানান, শিশু দুটির ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে নিজ সন্তানকে হত্যা করেছেন তিনি।
এদিকে হত্যার পর ওই বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন মামলার বাদী ও নিহতদের বাবা আমান উল্লাহ আমান। তিনি তার শ্বশুর বাড়ির কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। তিনি কোথায় আছেন তাও কেউ জানেনা। নিহতদের মা মাহফুজা মালেক জেসমিন এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না আমান।
জানতে চাইলে নিহতদের মামা মো. জাকির হোসেন সরকার বুলবুল বলেন, আমান এখন কোথায় আছে তা আমরা জানিনা। সে আগের বাসা ছেড়ে দিয়েছে। আর মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। আর আমার বোন এখন কোথায় আছে, কোন কারাগারে রয়েছে তাও আমরা জানিনা। আমি একটি চাকরি করি। নানা ব্যস্ততার কারণে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন