ডিওডোরেন্ট ব্যবহারই হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ!
ডিওডোরেন্ট স্প্রে ব্যবহার করেন হয়তো আপনিও। সকালে বাসা থেকে বের হবার সময়ে ঝটপট নিজের পছন্দের সুগন্ধি মাখার মাঝে দোষের কিছু দেখেন না কেউই। দোষের কিছু আসলেও নেই। কিন্তু সাবধান, ব্রিটেনের এই ছেলেটির মতো ভুল করে বসবেন না যেন, অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে জীবন দিতে হয়েছে তাকে।
রেড লজ চিলড্রেন’স হোমে বাস করতো টমাস টাউনসেন্ড নামের এই ১৬ বছর বয়সী ছেলেটি। হঠাৎ করেই তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাওয়া যায় নিজের ঘরের সামনে। প্যারামেডিক ডেকেও তাকে বাঁচানো যায়নি। জানা যায়, সে গোসল করার পরিবর্তে শরীরে অনেক বেশি ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতো। তার ঘরে পাওয়া যায় ডিওডোরেন্ট এবং হেয়ার স্প্রের ৪২ টি ক্যান। মাঝে মাঝে এক সপ্তাহের মাঝেই এক ক্যান ডিওডোরেন্ট শেষ করে ফেলতো সে।
তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা যায়, বিউটেন গ্যাস অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করায় তার সার্কুলেটরি সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তার শরীরে কোন ড্রাগের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বেশীরভাগ ডিওডোরেন্ট স্প্রেতে বিউটেন থাকে এবং এটা নিঃশ্বাসের সাথে বেশি গ্রহণ করলে যে কারও দেখা দিতে পারে মাথাব্যাথা, নিঃশ্বাসের সমস্যা, মেজাজ খারাপ হওয়া এবং বমি ভাব।
এটাই অবশ্য ডিওডোরেন্ট ব্যবহারে মৃত্যুর প্রথম ঘটনা নয়। ২০০৮ সালে ড্যানিয়েল হার্লি নামের ১২ বছর বয়সী এক ছেলে মৃত্যুবরণ করে অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট স্প্রে করার পর। স্প্রে করার পর পরই তার হৃদযন্ত্র অনিয়মিত আচরণ করতে থাকে। এর পাঁচ দিন পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়, জানা যায় ডেইলি মেইল থেকে। বদ্ধ জায়গায় বেশীক্ষণ ধরে স্প্রে করার কারণে এই ঘটনা ঘটে বলে দেখা যায়।
তবে এই দুই ক্ষেত্রেই সম্ভবত ডিওডোরেন্ট কোম্পানিগুলোকে দোষ দেওয়া যায় না। কারণ ড্যানিয়েল যে লিনক্স ডিওডোরেন্ট স্প্রে করার ফলে মারা গেছিলো তার ক্যানে লেখাই ছিলো বদ্ধ জায়গায় ব্যবহার করা যাবে না, বেশীক্ষণ ধরে ব্যবহার করা যাবে না এবং ছোট বাচ্চাদের হাতের কাছে রাখা যাবে না। আপনি নিজেও যখন ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন, তখন এই নিয়মগুলো মেনে চলবেন অবশ্যই। দেখে নিতে পারেন ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের সঠিক নিয়মগুলো।
ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের বিভিন্ন খারাপ দিক আগেও জানা গেছে। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ডিওডোরেন্ট ও অ্যান্টিপার্স্পিরেন্ট। এটা কারও কারও ত্বকে সমস্যা তৈরি করে, অ্যালার্জির উদ্রেক করতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। ডিওডোরেন্টের এসব ক্ষতির আওতা থেকে নিজেকে একেবারেই মুক্ত রাখতে আপনি প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডা, কর্ন ফ্লাওয়ার এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন এসেন্স দিয়ে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন একদম প্রাকৃতিক একটি পারফিউম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন