ডিজিটালাইজেশনেই দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি : পলক
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, উন্নত দেশ গড়তে হলে প্রথমেই দরকার উন্নত প্রযুক্তি। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব না। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমেই দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে বিজয় দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সার্বজনীন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৫২ ও ৭১’এর আন্দোলনে অংশ নিতে না পারলেও তেমনই একটি আন্দোলনের সুযোগ করে দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে অংশ নিতে পারবো।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার ইতিহাস নষ্ট করতে চেয়েছিল। তারা আমাদের তরুণদের থেকে প্রায় দুই যুগ থেকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস থেকে দূরে রেখেছিল। তাদের একটাই ভয় ছিল তরুণরা যদি বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জেনে জয় বাংলাকে ধারণ করে তাদের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।’
পলক বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম মহিমান্বিত আহবান হলো ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ। তরুণ প্রজন্মের কাছে যুগোপযোগী করে এই শিহরণ জাগানো ৭ই মার্চের ভাষণকে আমরা রঙিন করে উপস্থাপন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে সবার মাঝে সহজে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু অ্যাপ করেছি। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও সাধনা নিয়ে নির্মিত গেমে সহযোগিতা করছি। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’
আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নুজহাত চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা আমাদেরকে ঋণী করে গেছেন। শহীদদের রক্তের ঋণ আমাদের সবার। তাদের সে ঋণের মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে।’
নতুন প্রজন্মের নিকট তিনি আবেদন রেখে বলেন, আপনাদের নিকট আমার একটাই দাবি কোনো একাত্তরের কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধীকে দেশের মাটিতে বেড়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। তারা যেন কখনও কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নুজহাত চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের উপর যারা হামলা করেছিল তারা এখনো সজাগ রয়েছে। তারা কখনো দেশের উন্নতি চায় না। ফলে আমাদেরকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পাশাপাশি সার্বজনীন চিন্তার বিকাশ ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু রাজনৈতিক নয়; আদর্শগতভাবে চিন্তা করতে হবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের এমডি বেগম হোসনে আরা, তথ্য ও যোগাযোগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, পার্থপ্রতিম দেব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক এবং কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটিজের কন্ট্রোলার আবুল মনসুর প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল
ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর
ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন