ডিমলায়-অবৈধ ভাবে বন বিভাগের গাছ ও বাশঁ কাটার ধুম! এলাকা জুড়ে তোলপাড়
মহিনুল ইসলাম সুজন, ক্রাইমরিপোর্টার নীলফামারীঃ-
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া সুন্দরখাতা বন বিভাগের বাঁশ ও গাছ অবৈধ ভাবে কাটার ধুম পড়েছে। স্থানীয় কতিপয় কু-চক্রি ব্যক্তির সহযোগীতায় বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরাই এ অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে সুন্দর খাতা বন বিভাগের ২০২১ দাগে ২২ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বাঁশ, বেত ও ইউক্যালিপটাস গাছের বাগান। এসব বাগান ও বন বিভাগের সম্পদ দেখভালের জন্য সুন্দর খাতা বন বিটে ১জন বিট কর্মকর্তা, ১জন মালী ও ১জন রেস্ট হাউজ এটেনডেন্স রয়েছে। যারা প্রতিমাসে সরকারী ভেতন-ভাতাদিসহ সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করে থাকেন। এর পরেও স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তির যোগসাজসে তারাই দীর্ঘ দিন থেকে বনের বাঁশ ও গাছ চুরি করে কেটে তা কালোবাজারে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এছাড়া বন কর্মচারীদের মদতে বনের জমিতে অবৈধভাবে চাষাবাদ সহ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী কু-চক্রি মহল।
এমতাবস্থায় গত রোববার (২রা এপ্রিল) দুপুরে বন বিভাগের মালী আব্দুল আলিম ও রেস্ট হাউজ এটেনডেন্স নাজমুল হক বাঁশ বাগানের প্রায় অর্ধতাধিক বাঁশ কেটে এক বাঁশ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।ওই ব্যবসায়ী বনের চোরাই বাঁশ ভ্যানে তুলে পাচারের সময় স্থানীয়রা আটক করে গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ দিলে স্থানীয় কয়েক জন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে বনকর্মচারী আব্দুল আলিম ও নাজমুল হক জানান, বিট অফিসে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নেয়ার জন্য মাত্র ১০/১২টি বাঁশ কাটা হয়েছে। এ বাঁশ কাটার বিষয়টি উধর্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন না বলেও জানান তারা।
বিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি সাতজান বিট অফিসে আছি। ওখানে কে কি করলো তা আমার জানা নেই তবে বাঁশ কাটার খবর শুনেছি। এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ১০ বছর আগে বনের জমিতে বাঁশ, বেত ও ইউক্যালিপটাস গাছের বাগান গড়ে তোলা হয়।এক পর্যায়ে বাগানটি অনেক ভালো রুপ নিলেও দীর্ঘদিনযাবত রাতের আধারে বনের বাঁশ ও গাছ কেটে সাবার করা হলেও বনকর্মচারীরা বরাবরই ভাগের কারনে নিরব থেকেছেন। তারা আরো জানান, বন কর্মচারীদের মদতেই বনের জমিতে অবৈধভাবে চাষাবাদ করছে ওই বন এলাকার ৭-নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সাবলু।
এই সাবেক ইউপি সদস্য সাবলু, দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে রাতের আধারে গোপনে বনবিভাগের গাছ ও বাশঁ কেটে লুটপাট করলেও এখন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে দিনদুপুরেই
সেই লুটপাট চালিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ-লাখ টাকা।এমনকি সবশেষ বনবিভাগের কাটা বাশঁ গুলো তারই নেতৃত্বে এক বাশঁ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত বাশঁ ব্যবসায়ী ।
পুরো বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী তুলেছেন এলাকার সচেতন মহল।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সাবলু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা(বন কর্মচারীরা) ছোট চাকুরী করে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করলে তাদের ক্ষতি হতে পারে। এ অজুহাতে তিনি রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদকর্মীদের অনুরোধ করেন।
বনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফরেষ্ট রেঞ্জার আব্দুল হাই সরকার জানান, আমি ছুটিতে সুন্দরগঞ্জে এসেছি। বুধবার গিয়ে ঘটনার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানানো হবে।
এদিকে রংপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ডঃ প্রান্তোষ চন্দ্র রায় জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেও কোন অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা আটক নীলফামারীতে
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ৬০ বছর বয়সীবিস্তারিত পড়ুন
নীলফামারীর জলঢাকায় ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু !
এম ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডোমার সড়কের দুন্দিবাড়িবিস্তারিত পড়ুন
নীলফামারীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ইটবোঝাই ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহতবিস্তারিত পড়ুন