ঢাকায় এসেছিলেন শরণার্থী হয়ে, হলেন নায়ক রাজ্জাক
নায়করাজ রাজ্জাক বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতার নাম। ১৯৬৬ সালের ২৮ অক্টোবর ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে নায়ক হিসেবে রূপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি। সম্প্রতি অভিনয় জীবনে ৫০ বছর পূর্ণ করলেন গুণী এই অভিনেতা। চলচ্চিত্রে ৫০ বছর পার করলেন। কেমন লাগছে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাক বলেন, সত্যি বলতে আমি অভিনয়কে এত বেশি ভালোবাসতাম, অভিনয়ের ৫০ বছর কখন কেটে গেল তা টেরই পাইনি। আজ আমার সহকর্মীরা অনেকে নেই। তাদের কথা ভীষণভাবে মনে পড়ছে। তারা আমাকে সে সময় সহযোগিতা না করলে এত দূর আসা সম্ভব ছিল না। নায়করাজও হয়ে ওঠা হতো না। বিশেষভাবে আমার স্ত্রী লক্ষ্মী সংসার আগলে রেখেছিল বলেই আমি নায়করাজ রাজ্জাক হয়েছি।
ভক্তরা তাকে চেনেন নায়ক রাজ রাজ্জাক নামে, আব্দুর রাজ্জাক তার পোশাকি নাম। গত বছর প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, বলতে গেলে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। এখনো ততোটা সুস্থ নন তিনি। রাজ্জাক বলেন, “আমার প্রেম আমার ভালবাসা আমার সবকিছু অভিনয়, চলচ্চিত্র। এছাড়া আমি আর কিছু জানি না, পারি না। আল্লাহ অনেক সুযোগ দিয়েছেন, অনেক কিছু করতে পারতাম। করিনি।”
“স্বপ্ন ছিল আজীবন কাজ করতে করতে মারা যাব। মরেই গেছিলাম প্রায়। আবার ফিরে এসেছি, আল্লাহ ফিরিয়ে দিয়েছেন। যেন কাজ করতে করতে মরে যেতে পারি, এই দোয়া আমি সবার কাছে চাই।”
আব্দুর রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে শরণার্থী হয়ে ঢাকায় আসেন। এর পর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। সেই থেকে শুরু।
গত বছরও তার অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। রাজ্জাক বলেন, “আমি আমার জীবনের অতীত ভুলি না। আমি এই শহরে রিফিউজি হয়ে এসেছি। স্ট্রাগল করেছি। না খেয়ে থেকেছি। যার জন্য পয়সার প্রতি আমার লোভ কোনদিন আসেনি। ওটা আসেনি বলেই আজকে আমি এতদূর শান্তিতে এসেছি।”
রাজ্জাকের নায়ক জীবনে জন্ম হয়েছে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো জুটি। রাজ্জাক-কবরী জুটির কথা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। প্রায় অর্ধশত বছরের অভিনেতা হিসেবে রাজ্জাকের ঝুলিতে রয়েছে তিনশোটির মত বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিই পেয়েছে ক্লাসিকের খ্যাতি।
আগের দিনের অনেক তারকার মতো এখনকার তারকাদের চোখেও রাজ্জাক একজন আইডল। ঢাকাই ছবির এই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় একজন অভিনেতা শাকিব খানের ভাষায়, “এখনকার প্রজন্ম এবং আগামী যত প্রজন্ম আসবে তাদের কাছে নায়ক রাজ রাজ্জাক একটি প্রেরণার শক্তি হয়ে থাকবে।”
অভিনয় জীবনের এক পর্যায়ে ছবি পরিচালনার কাজও শুরু করেন রাজ্জাক।ষোলটির মতো ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। সবশেষ পরিচালিত ছবিটির নাম আয়না কাহিনী, যেটি মুক্তি পায় গত বছর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন