মঙ্গলবার, জুলাই ৮, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ঢাকার নারীরা কেন বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাচ্ছেন

ঢাকার নারীদের পক্ষ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের (ডিভোর্স) ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তাদের মতে, ২০১৫ সালে ঢাকায় ১০টি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সাতটিই ছিল নারীদের স্ব-উদ্যোগে বিচ্ছেদের ঘটনা।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুজন নারী বর্ণনা করেছেন সমাজের অমত সত্ত্বেও তাঁরা কীভাবে বিবাহবিচ্ছেদ করার সাহস পেয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশে ডিভোর্স পেতে হলে নারীদের সামাজিকভাবে নানা সংগ্রাম করতে হয়।

আয়েশা পারভীন একজন সফল ভোকেশনাল স্কুল ম্যানেজার। কিন্তু তিনি তাঁর দাম্পত্য জীবনকে সুখী করতে বছরের পর বছর চেষ্টা করেছেন। পরে তিনি ব্যর্থ হয়ে যখন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাঁর বাবা-মাও তাঁকে ছেড়ে যান। কিন্তু তারপরও দমে যাননি আয়েশা।

আয়েশা পারভীন বলেন, ‘ওই সময় আমার পরিবার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। বরং তাঁরা উল্টো আমাকে বলেছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। অনেক মেয়েরাই এভাবে কষ্ট করে সংসার করছে। তুমি কিসের মেয়ে হলে যে একটা ছেলেকেই বদলাতে পারছ না।’ তিনি আরো বলেন, ‘মনে হলো যেন সংসারটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পুরো দায়িত্বটাই আমার একার। আমার সঙ্গে তারা আড়াই বছর কোনো যোগাযোগ রাখেনি।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২২ হাজার নারীর ওপর একটি জরিপ চালিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে চারজনের পারিবারিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

মালেকা নামের এক নারী, যিনি ঢাকার একটি বস্তিতে থাকেন। তিনিও পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

মালেকা বলেন, ‘আমি বাসাবাড়িতে কাজ করতাম। সেই টাকা স্বামীকে না দিলে সে আমাকে মারধর করতে। ঠিকমতো খেতে দিত না, বাজার করত না। মাঝেমধ্যে ঘরে মানুষ (অন্য নারী) নিয়ে এসে থাকত। এমনকি সে আমার বোনের মেয়েকে নিয়ে থাকত। এ লজ্জা সইতে না পেরে আমি ডিভোর্স দিয়েছি।’

তবে নারীদের প্রতি পারিবারিক সহিংসতা কমাতে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র ঢাকায় বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিচ্ছে। তাঁরা বলছে, এ ধরনের বিবাহবিচ্ছেদের পেছনে কাজ করছে নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও শিক্ষা।

এদিকে বিবিসি জানায়, বিবাহিত মুসলিম নারীদের অধিকার রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি পরিপূর্ণ বৈবাহিক সনদপত্রের নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে একটি অংশ রাখা হয়েছে, যেখানে একজন নারীর ডিভোর্সের অধিকার নিয়ে লিখতে হচ্ছে। এতে করে একজন নারীও ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষমতা পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আইনজীবী নিনা গোস্বামী বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখন যাতে এই অংশটা পূর্ণ হয় এবং সেখানে যেন তাকে এই ক্ষমতাটুকু দেওয়া থাকে এই বিষয়টা সচেতনভাবেই করার চেষ্টা করে। কাজীদের জন্যও কিন্তু একটা বার্তা আছে যে তারা যেন এটা রাখে।

জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি নারীর ১৮ বছরেরই মধ্যেই বিয়ে হয়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নানাভাবে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো

সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • নেতানিয়াহু: তেহরানের আকাশ দখলে, জয়ের পথে ইসরায়েল
  • অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
  • ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী শাসক বললেন ট্রাম্প
  • ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
  • মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
  • ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের