তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিই হচ্ছে টাকা চুরির ফাঁদ
তথ্যপ্রযুক্তির যত বেশি অগ্রগতি হচ্ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে চুরি-ডাকাতি। এক দেশের টাকা স্থানান্তরিত হচ্ছে অন্য দেশে। তাই থামানো যাচ্ছে না এসব ফাঁদ। আবার এটিকে এড়িয়েও চলা সম্ভব নয়। আবার ফাঁদ পেতে বসে থাকা সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগে উড়াল দেয় টাকা নিয়ে, চলে যায় অন্যত্র। আর আসে না ফিরে এ টাকা, বিপাকে পড়ে ব্যাংক।
সম্প্রতি দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সঞ্চিত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশের প্রায় ৮০০ কেটি টাকার অর্থ হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে। জানা যায়, চীনা হ্যাকাররা নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট হ্যাকড করে এ টাকা উধাও চুরি করে। ২৫০টি দেশের সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভে টাকা জমা রাখে৷ সেই ভাবে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ রিজার্ভ গচ্ছিত রেখেছিলো। কিন্তু আটকে গেলে প্রতারক চক্রের কাছে। তবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বর্তমানে ২৮০০ কোটি ডলারের মতো৷
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান বলেন, এটা মূলত একটা ‘মিস ইন্সটাকশন’।এ টাকার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে যত ধরনের সহযোগিতা লাগে সবটুকু সহযোগিতা ফিলিপাইনের সরকার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে। দেশটির সরকার একটি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে এ আশ্বাস দিয়েছেন।
এই ঘটনায় ফিলিপাইনে এন্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের আদালতে মামলা দায়ের এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে। এই টাকা উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা ইতোমধ্যে ফিলিপাইনে গিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসেছেন। তাছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের ডিজিএম জাকের হোসেন ও বিএফআইইউর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রবকে দেশটিতে পাঠানো হয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সেখানে গিয়ে এ দুই কর্মকর্তা ‘ব্যাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিন্স (বিএসপি)’ এবং ‘এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি)’-এর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। বিশেষ এ দুটি বৈঠকে হ্যাকার গ্রুপ চিহ্নিত করে টাকা ফেরতের ব্যবস্থার বিষয়ে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়।
জানা যায়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আক্রান্তের এই ঘটনা নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে তার ফরেনসিক ইনভেস্টিগেটিভ টিম নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে। ফিলিপিন্সের এন্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অর্থ ফেরতে আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনবোধে বিশ্ব ব্যাংকের স্টোলেন এসেটস রিকভারি (এসটিএআর) প্রক্রিয়াও অবলম্বিত হবে।
আবার ফিলিপিন্সের এন্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ দেশটিতে অবৈধভাবে ঢুকে পড়া ১০ কোটি ডলারের অনুসন্ধানে নামে; যে অর্থের অধিকাংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে হ্যাকারদের হাতিয়ে নেওয়া বলে তারা জানিয়েছিল। গত ২৯ ফ্রেবুয়ারি ফিলিপিন্সের সংবাদপত্র দি ফিলিপিন ডেইলি ইনকোয়ারারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বাংলাদেশের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়ে তা ফিলিপিন্সে পাচার করে। পরে ওই অর্থ সেখান থেকে ক্যাসিনোসহ একাধিক হাত ঘুরে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, চীনা হ্যাকাররা নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট হ্যাকড করে। এর মধ্যে সাড়ে ৭ কোটি ডলার ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে এবং বাকি অর্থ শ্রীলংকার একটি ব্যাংকে স্থানান্তর করে।
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে অর্থ চুরির বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক গোপন রেখেছে। জানানো হয়নি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে। মুহিত গত সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমিও বিষয়টি আপনাদের মতো পত্রিকা থেকে জেনেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাকে কিছু জানায়নি। ফলে আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না। তবে বিষয়টি আনইউজুয়াল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি আসার পর সেই দিন বিকালে বিশ্ব ব্যাংকের নতুন আবাসিক প্রতিনিধি ছিমেয়াও ফানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে এলে এই প্রশ্নের মুখে পড়েন মুহিত।
বিদেশে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সাইবার নিরাপত্তা সার্বিকভাবে নিশ্ছিদ্র করার প্রক্রিয়া জোরালোভাবে সচল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আর্থিক খাতের কাজ গুছিয়ে আনার পাশাপাশি তা যে ঝুঁকিও তৈরি করেছে- তা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্থিক খাতের অভিভাবক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক এই সাইবার অপতৎপরতার বিষয়ে অবহিত হওয়া মাত্রই তা মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে। তবে দাপ্তরিক কাজে তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার ও অনলাইন কার্যক্রমের বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি আদেশও জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্যদিকে গভর্নর আতিউর রহমান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, এর নিরাপত্তা ঝুঁকিও তত বাড়ছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রযুক্তির বাইরে থাকা যাবে না। তবে আমাদের সতর্কতাও বাড়াতে হবে।
ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে যে ৮০০ কোটি টাকা চুরি গেছে তা বিভিন্ন হাত হয়ে ক্যাসিনোতে চলে যায়। এসব টাকা জুয়ার আসর থেকে আবার নগদ টাকায় রূপান্তরের পর চলে যায় হংকংয়ের একটি অ্যাকাউন্টে। এদিকে আরও ৮৭০ মিলিয়ন ডলার চুরির চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ। এই অর্থ দেশটির ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে পাচারের চেষ্টা চলছিল। যদিও ঘটনাটি গত মাসের। কিন্তু ফিলিপাইনের পত্রিকা ইনকোয়ারার গত বুধবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
৮৭০ মিলিয়ন ডলার চুরি বানচাল করার পর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিপাইনের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় মানিলন্ডারিংয়ের ঘটনা। তবে এ ঘটনা নাকি আরসিবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তারা আগে থেকেই জানতেন।
ফিলিপাইনের এক সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ইনকোয়ারারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের নেয়া টাকাগুলো স্থানীয় ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে জমা করেছেন চীনা বংশোদ্ভূত ফিলিপাইনের ওই ব্যবসায়ী। ব্যাংকটির ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের দাবি, ২০১৫ সালের মে মাসে ম্যানেজারকে ৫টি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাই এ আদেশ দেন। এ ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো খুলতে গিয়ে আরসিবিসি ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে ৫টি আইডি কার্ড সরবরাহ করা হয়। যে কার্ডগুলোতে ব্যবহৃত পরিচয় ছিল কাল্পনিক। ঘটনা প্রকাশের পর এখন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য তৈরি রয়েছেন বলে পত্রিকাটি তাদের খবরে প্রকাশ করেছে।
পত্রিকাটি দাবি করছে, চুরির টাকাগুলো নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে প্রথম যায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ব্যাংকে। এই ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক অব নিউইয়র্ক, সিটি ব্যাংক এবং ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে। তারা এই অর্থ পাঠায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে।
ফিলিপাইনের মাকাটি শহরের যে শাখায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে, সেই শাখার প্রধান কর্মকর্তা বিষয়টি ব্যাংকের উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। এই লেনদেনের প্রত্যেকটি ধাপ সম্পর্কে এই ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আগাগোড়াই জানতেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লোরেনজো ট্যান তা অস্বীকার করছেন।
রিজার্ভ চুরিতে ফিলিপাইনে ৬ সন্দেহভাজন শনাক্ত
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৬ জনকে সন্দেহের তালিকায় নিয়েছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিল। কিম অং নামের একজনের ছবিও প্রকাশ করেছে সেখানকার স্থানীয় পত্রিকা ইনকোয়ারার। যে ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- কিম অং, মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার লাগ্রোসাস, আলফ্রেড সান্তোস ভারজারা, এনরিকো তিয়োডোরো ভাসকুয়েজ ও উইলিয়াম সো গো।
ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনে (আরসিবিসি) সন্দেহভাজনদের পাঁচজনেরই বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেসব অ্যাকাউন্টে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার এসেছিল বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এসব টাকা পরে তুলে নিয়ে ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আবার তা হংকংয়ে পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করছে পত্রিকাটি।
ইতিমধ্যে দেশটির আদালত ওই ছয়জনের সংশ্লিষ্ট সবগুলো অ্যাকাউন্ট ছয়মাসের জন্য জব্দ করার আদেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন উইলিয়াম সো গো এর কোম্পানি সেঞ্চুরিটেক্স ট্রেডিংয়ের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে বলেছে। আদালতের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতগুলো টাকা ৫টি ব্যাংক হিসাবে ঢুকেছে, কিন্তু তাদের আয়ের কোনো উৎস সেখানে দেখানো হয়নি। যে কারণে বেশ চাপের মুখেই পড়েছেন ওই শাখার প্রধান কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই টাকাগুলো যখন বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় তখন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ শোধের টাকা হিসাবে দেখানো হয়েছে। যেমন, ভাসকুয়েজের অ্যাকাউন্টে ২৫ মিলিয়ন এবং লাগ্রোসাসের অ্যাকাউন্টে ৩০ মিলিয়ন ডলার ঢুকেছিল কাঁচপুর-মেঘনা-গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জাইকার কাছ থেকে নেয়া ঋণ শোধের কথা বলে। ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্প হিসেবে এখানে দেখানো হয়। এছাড়া আইপিএফএফ প্রকল্পে কনসালটেন্সি ফি হিসেবে ক্রুজের অ্যাকাউন্টে নেয়া ৬ মিলিয়ন এবং ভেড়ামারা কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্সি ফি হিসেবে বাকি ১৯ মিলিয়ন স্থানান্তর করা হয় ভারজারার অ্যাকাউন্টে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন