তদন্ত কমিটি হচ্ছে তসলিমার বাবাকে পেটানোর ঘটনায়
নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে তাক লাগিয়ে দেয়া ফুটবলারদের হুমকি এবং এক অভিভাবককে মারধরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কলিসুন্দর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জালাল উদ্দিন ফোনে ঢাকাটাইমসকে এ কথা জানান।
দুপুরে তিনি বলেন, ‘আমার সভাপতি ঢাকায় আছেন। আজ ফেরার কথা। বিকেলে মিটিং ডেকেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অভিযোগ আছে, জালালের সামনেই জুবেদ তালুকদার তসলিমার বাবাকে মারধরের পাশাপাশি অন্য মেয়েদের জুতাপেটার হুমকি দেন।
তবে জালাল উদ্দিন দাবি করছেন, তিনি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। পরে শুনেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক এই প্রতিবেদকে ফোনে বলেন, ‘প্রিন্সিপাল ওই সময় ওখানে ছিলেন। তার সামনেই এসব ঘটেছে। তিনি নিজে কিছু না বলে জুবেদকে দিয়ে কথা বলান।’
এদিকে অভিযুক্ত শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার দাবি করছেন, তিনি দোষ করেননি। বৃহস্পতিবার ফোনে শরীরচর্চার এই শিক্ষক বলেন, ‘আমি কোনো দোষ করিনি। ওনার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে ঠিকই। তাই বলে আমি ওদের খেলতে জোর করিনি।’
বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৬ দলে কলিসুন্দর থেকে একসঙ্গে ৯ জন মেয়ে ফুটবল খেলেন। ঢাকা থেকে সম্প্রতি তারা বাড়ি ফিরলে স্কুলে ডাকা হয়। তাদের জানানো হয় ১৬ সেপ্টেম্বর স্কুলটিমের খেলা আছে। সেখানে খেলতে হবে। এরপর মেয়েরা জানায়, ১৭ তারিখ ঢাকায় তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। তাছাড়া বাফুফে থেকে অনুমতি না নিয়ে খেলা যাবে না। এই কথা শুনে জুবেদ রেগে যান। পরে তসলিমার বাবার সঙ্গে বাজারে বসে দেখা হলে গায়ে হাত তোলেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, ‘আমি স্কুলের খেলায় খেলতে বলিনি। তুচ্ছ একটি ব্যাপার নিয়ে এসব হচ্ছে। তসলিমার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। একজন মেয়েও যদি বলে আমি ওনাকে মেরেছি তবে শাস্তি মাথা পেতে নিব।’
২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব। বাংলাদেশ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপ থেকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে উঠেছে। ইরানকে ৩-০ গোলে, সিঙ্গাপুরকে ৫-০, কিরগিজস্তানকে ১০-০, চীনা তাইপেকে ৪-২ এবং আরব আমিরাতের মতো র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দেশকে ৪-০ গোলে হারায় তসলিমারা।
কলিসুন্দরের আরেক মেয়ে তসলিমা। তিনি জাতীয় দলের গোলরক্ষক। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘স্যার মিথ্যা কথা বলছেন। আমরা বলেছিলাম খেলতে হলে ঢাকা থেকে কিরণ ম্যাডামের অনুমতি নিতে হবে।’
‘এরপর আমরা গোলাম রাব্বানী ছোটন স্যারকে (কোচ) ফোন দেই। তিনি বলেন ফেডারেশনের অনুমতি না নিয়ে মাঠে নামলে বাদ পড়তে হবে। পরে শুনি কিরণ ম্যাডাম দেশে নাই। তাই আমরা জুবেদ স্যারকে বলি স্যার খেলতে পারবো না।’
মাহমুদার অভিযোগ, এই কথা শুনে মেয়েদের টিসি দেয়ার হুমকি দেন জুবেদ।
‘স্যার বলছিল, তোরা আর কলিসুন্দরের পরিচয় দিবি না। তোদের টিসি দিয়ে দিব।’
তসলিমার বাবাকে জুবেদ মেরেছেন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদা বলেন, ‘তসলিমার আব্বু বাজারে বসে ছিল। স্যার ওনাকে ডেকে বলে কী রে সবুজ ন্যাতা হইছোস। এরপর লাথি মেরে মাটিতে ফেলে বুকেও আঘাত করেন।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন