কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর হত্যা উদঘাটনে তার পরিবারের সদস্য ও বান্ধবীদের শুক্রবার আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা থেকে আসা সিআইডির দল।

সকাল থেকে কুমিল্লা সিআইডি অফিসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত এ জিজ্ঞাসাবাদ চলে।

যাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তারা হলেন- তনুর বড় ভাই নাজমুল হোসেন,চাচাতো বোন লাইজু জাহান, তনুর বান্ধবী মনিষা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইছমাইল হোসেনসহ পাঁচজন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও তনু হত্যামামলা তদন্ত সহায়ক কমিটির প্রধান আবদুল কাহহার আকন্দসহ সিআইডির একটি দল কুমিল্লায় এসে পৌঁছে।রাতে ঢাকা ও কুমিল্লার সিআইডির সমন্বিত দলটি সেনানিবাসের ৫ সেনা সদস্যকে কুমিল্লা সিআইডির কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডির এ দলটি। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ দলটি গত ২ এপ্রিল ও ৩ এপ্রিল সেনানিবাস এলাকায় তনুর মরদেহ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে। এসময় এ দলটি তনুর মা-বাবা, ডাক্তার নার্সসহ কয়েকজন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পরে সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান রাত দেড়টায় সাংবাদিকদের জানান, তনু হত্যার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তনুর লাশ পাওয়ার সময় পর্যন্ত ওই সড়কে কারা কখন কিভাবে দায়িত্বে ছিলেন সে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিতে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার অদূরে জঙ্গলে তনুর লাশ পাওয়া যায়। ২১ মার্চ তার বাবা ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কুমিলা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন।